BCCI annual retainership contract: বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন ঈশান কিষান, শ্রেয়স আইয়ারের মত জাতীয় দলের দুই নামি তারকা। এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকারের। এমনটাই জানালেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। বোর্ডের নির্দেশ সত্ত্বেও ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেননি ঈশান-শ্রেয়স। তারপরেই বাদ দেওয়া হয় দুই তারকাকে।
গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার পর ঈশান কিষান দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনুপস্থিত ছিলেন। আইপিএল পর্যন্ত মাঠেই দেখা যায়নি তাঁকে। শ্রেয়স অবশ্য রঞ্জিতে মুম্বইয়ের হয়ে কয়েকটা ম্যাচ খেলেন। তবে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জির এক ম্যাচে অংশ না নিয়ে শ্রেয়স মুম্বইয়ে কেকেআরের এক অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠে যায়।
বৃহস্পতিবার বোর্ডের সদর দফতরে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় জয় শাহ জানিয়ে দেন, "বোর্ডের সংবিধান খতিয়ে দেখো। আমি স্রেফ বোর্ডের নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক। এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অজিত আগারকারের ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলা এই দুই তারকাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গোটাটাই আগারকারের। আমার দায়িত্ব সেই সিদ্ধান্ত বলবৎ করা। তবে এতে আমরা সঞ্জু স্যামসনের মত নতুন তারকা পেয়েছি। কেউই অপরিহার্য নয়।"
বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তি তালিকা নিয়ে যেন গোটা দেশে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল, সেই সময় ভারত বনাম ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের আগে জয় শাহ বলে দিয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ না করলে বাদ দেওয়ার যে নীতি তাতে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। শাহ জানিয়েছেন, বাদ পড়ার পর সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন।
"আমি ওঁদের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। এমনকি মিডিয়াতে এই খবর প্রকাশিতও হয়েছে। এমনকি হার্দিক পান্ডিয়া জানায়, বোর্ড যদি ওঁকে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের জন্য বিবেচনা করে, তাহলে ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফিতে অংশ নেবে। ইচ্ছা না থাকলেও সমস্ত ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেই হবে।" বলেছেন বিসিসিআই সচিব।
আইপিএলে হাই স্কোরিং ম্যাচের ট্রেন্ড নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "ঈশান কিষানের পক্ষে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মুশকিল হয়ে গিয়েছে। তবে আইপিএলে ও খেলতেই পারে। অনেকটা রিল্যাক্সড মুডে খেলতে পারে ও আইপিএলে। জাতীয় দলে নিজেকে প্রমাণ করার চাপ থাকে। পরপর ম্যাচে ছন্দ ধরে রাখার ব্যাপার থাকে। যাঁরা এই চাপ নিতে পারবে, তাঁরাই প্রকৃত প্লেয়ার।"