দীপক লাথার, দেশের কনিষ্ঠতম ভারোত্তোলক হিসেবে শুক্রবার কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের নজির গড়লেন। হরিয়ানার ১৮ বছরের দীপক এদিন ভারোত্তোলনের ৬৯ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। মোট ২৯৫ কেজি (১৩৬ কেজি+১৫৯ কেজি) ওজন তুলে তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন দীপক। এই ইভেন্টে ওয়েলসের গ্য়ারেথ ইভান্স সোনা পেয়েছেন, শ্রীলঙ্কার ইন্ডিকা সি দিসাননায়কে মুদিয়ানসেলাগে রুপো পান।
এবছরই প্রথম কমনওয়েলথে অভিষেক করলেন দীপক। তিনি স্ন্যাচে ১৩৬ কেজি ও ক্লিন-অ্য়ান্ড-জার্কে ১৫৯ কেজি তুলেছেন। ক্লিন-অ্য়ান্ড-জার্কে এটাই দীপকের সেরা ব্যক্তিগত রেকর্ড। হরিয়ানার জিন্দ প্রদেশেরই বাসিন্দা দীপক পুণের আর্মি স্পোর্টস ইনস্টিটিউটে ট্রেনিং নেন । গতবছর এই গোল্ড কোস্ট থেকে কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপেও ব্রোঞ্জ পান তিনি। ৬২ কেজি বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন দীপক। জাতীয় স্তরেও রেকর্ড রয়েছে তাঁর। দেশের কনিষ্ঠতম ভারোত্তোলক হিসেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০১৬-তে মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই নজির গড়েছিলেন দীপক।
চলতি বছর কমনওয়েলথে দীপকের হাত ধরেই দেশের চার নম্বর পদকটি এসেছে। চারটি পদকই এসেছে ভারোত্তোলনে। বৃহস্পতিবার পি গুরুরাজার সৌজন্যে রুপো দিয়েই কমনওয়েলথে পদকের খাতা খোলে ভারত। এরপর মীরাবাঈ চানু দেশকে সোনা এনে দেন এই খেলাতেই। শুক্রবারও ভারত ভারোত্তোলনে ফের সোনা পেল সঞ্জিতা চানুর হাত ধরে। এরপর দীপকের ব্রোঞ্জ। এদিন দীপককে নিজের তরুণ বন্ধু বলেই অভিহিত করেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন দীপকের আগে দেশকে গর্বিত করেন খুমুকচাম সঞ্জিতা চানু। বছর চব্বিশের এই মণিপুরি কন্যার সৌজন্যে কমনওয়েলথে ভারতের দ্বিতীয় স্বর্ণপদক চলে এল। এদিন কারারা স্পোর্টস অ্য়ান্ড লেজার সেন্টারে ভারোত্তোলনের ৫৩ কেজি বিভাগে সোনা পেলেন সঞ্জিতা। গতবারের চ্য়াম্পিয়ন পাপুয়া নিউ গিনির লোয়া ডিকা তুয়াকে হারিয়ে দেশের জন্য সোনা ছিনিয়ে এনেছেন সঞ্জিতা। গতবছর গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জিতেছিলেন সঞ্জিতা। ৪৮ কেজি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। এদিন চানু মোট ১৯২ কেজি তুলেছিলেন। স্ন্য়াচে ৮৬ কেজি ও ক্লিন-অ্যান্ড-জার্কে ১০৮ কেজি ওজন তোলেন তিনি।