Advertisment

মুখ্যমন্ত্রীর ইমামি-ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পরেই ইস্টবেঙ্গলে ঢাকার প্রতিনিধিরা! ক্লাবে চলছে কোন অঙ্ক

East Bengal investor Emami: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বৃহস্পতিবার আসে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধিদল।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

মুখ্যমন্ত্রী ২৪ ঘন্টা আগেই ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের গাঁটছড়া বাঁধার চুক্তি ঘোষণা করেছেন। আর তারপরেই বৃহস্পতিবার লাল-হলুদ তাঁবুতে পদার্পন ঘটল ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্ৰতিনিধি দলের।

Advertisment

বিকালে ক্লাব তাঁবুতে এসে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ পর্ব সারেন ঢাকা থেকে আগত প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের আমন্ত্রণে শহরে এসেছিলেন তাঁরা। রিজওয়ানূর রহমানের নেতৃত্বে ৫০ জনের সেই প্রতিনিধি ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে পরিদর্শনের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। বাংলার বাণিজ্য পরিষদের কর্তারাও তাঁদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আসেন। ক্লাবের স্টেডিয়াম, ফুটবল কাঠামো ঘুরে দেখেন তাঁরা। ক্লাবের প্রশংসা করেন তারা।

আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল অফার প্রত্যাখ্যান ISL স্বপ্নে শান দিতে! বড় দলের ডাকের অপেক্ষায় রাজমিস্ত্রি-পুত্র মনোতোষ

ঘটনাচক্রে, শ্রী সিমেন্টের কাছ থেকে সরকারিভাবে গাঁটছড়া ছিন্ন হওয়ার বহু আগে থেকেই ইস্টবেঙ্গল বিনিয়োগকারী হিসাবে একাধিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা সারছিল। বাংলাদেশের বিখ্যাত বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গেও ইস্টবেঙ্গলের কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছিল। সেই সঙ্গে সমান্তরালভাবে আলোচনা চলছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়েছিলেন রেড ডেভিলসদের সঙ্গে লাল-হলুদের সম্পর্ক স্থাপন করতে।

publive-image

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ঢাকা থেকে আগত প্রতিনিধি দল (ইস্টবেঙ্গল সমাচার)

যাইহোক, বসুন্ধরার কর্ণধার সায়েদ সোবহান আনভীরকে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নতুন সম্পর্কের জল্পনার জন্ম দিয়ে আনভীর জানিয়ে দিয়েছিলেন, “দুই বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ আরও কাছাকাছি আসুক।" তারপরই বসুন্ধরার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কের জল্পনা অনেক দূর এগোয়।

publive-image

ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধিরা (ইস্টবেঙ্গল সমাচার)

ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তারাও বাংলাদেশে গিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে এসেছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে। যদিও সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলাদেশের কোনও সংস্থার বিদেশে বিনিয়োগ করতে হলে বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকের ছাড়পত্রের প্রয়োজন। ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করলেও সেই ব্যাংকের সবুজ সঙ্কেত দরকার। সেখানেই পুরো বিষয়টি আটকে ছিল। সেই সময় বসুন্ধরা গ্রুপের কর্তা আনভীর লাল হলুদ কর্তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিষয়টির সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন।

publive-image

ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎ সারেন অতিথিরা (ইস্টবেঙ্গল সমাচার)

ঢাকা চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে ফিরে ইস্টবেঙ্গলের বিষয়ে হাসিনা সরকারের কাছে কোনও রিপোর্ট দিতে পারেন, এমন সম্ভবনা-ও রয়েছে।

Bangladesh Indian Football Kolkata Football East Bengal Club East Bengal Eastbengal
Advertisment