ক্রিকেট ছেড়ে আপাতত তিনি দেশরক্ষার কাজে ব্যস্ত। ঘর থেকে দূরে থাকলেও প্রচারের মধ্যগগনেই রয়েছেন তিনি। টেরিটোরিয়াল আর্মিতে যোগদান করেছেন বিশ্বকাপের পরেই। সেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই দেখা গেল লাদাখে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে। বর্তমানে প্যারাশুট রেজিমেন্টে কর্মরত তিনি। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনেই ট্রুপ সমেত লাদাখে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ধারা বিলোপ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তা নিয়েই গোটা বিশ্বে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাওয়ায় খুশির আবহ গোটা এলাকা জুড়েই। এমন সময়েই মহেন্দ্র সিং ধোনি-র আগমনে খুশি দ্বিগুণ হয়েছে।
আরও পড়ুন
জাতীয় স্তরে একাধিক প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক আর্মি জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সিয়াচেনে শহিদ জওয়ানদের উদ্দেশ্যেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন তিনি। লাদাখে উড়িয়ে দেন তেরঙা। ধোনির লাদাখ পরিদর্শনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল।
বিশ্বকাপের পরেই অবসরের জল্পনা চরমে উঠেছিল। তবে ধোনি বরাবরের মতো প্রত্যেককে অবাক করে দিয়ে ঘোষণা করেন, ক্রিকেট থেকে দু-মাস ব্রেক নিয়ে তিনি আপাতত সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন কাশ্মীরে। তারপরেই সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ধোনি আপাতত সীমান্তরক্ষার কাজ করবেন। এবং ডিউটির পরে উনি প্যারা রেজিমেন্ট ট্রুপসের সঙ্গে থাকবেন।
ধোনি যে বছর দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন, সেই বছরেই সেনাবাহিনীর তরফ থেকে টেরিটোরিয়াল আর্মির প্যারাশুট রেজিমেন্টের সাম্মানিক কর্ণেল উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ধোনির সঙ্গেই এই বিরল সম্মান জুটেছিল শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রা এবং দীপক রাও-য়ের। ২০১৫ সালে আগ্রায় ট্রেনিং ক্যাম্পে পাঁচটা প্যারাশ্যুট ট্রেনিং জাম্প পূরণ করার পরে প্রশিক্ষিত প্যারাট্রুপারের মর্যাদা অর্জন করেন।
যাইহোক, ধোনি আপাতত ৩১শে জুলাই থেকে ১৫ অগাস্ট কাশ্মীরে নিজের ডিউটি পালন করলেন।
Read the full article in ENGLISH