এর আগে ঋষভ পন্থ ব্যঙ্গ শুনেছিলেন। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে যখনই ব্যর্থ হয়েছিলেন তরুণ তারকা, তখনই গ্যালারি থেকে সমর্থকরা 'আওয়াজ' দিয়েছিলেন। সমর্থকরা জয়ধ্বনি দিয়েছিলেন ধোনির জন্য। এবার ছাড় পেলেন না লোকেশ রাহুলও। ধোনি-খোঁটা নিয়ে ওয়াংখেড়ে ছাড়তে হল রাহুলকে।
ক্রিকেট থেকে বহুদিন বাইরে। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। নির্বাচকরা সাফ ধোনিকে আকারে ইঙ্গিতে বার্তা দিয়ে দিয়েছেন, যে তিনি আর স্বাগত নন। ধোনি অবসরের পথেও হাঁটেননি। বরং আইপিএলে খেলে ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে। রবি শাস্ত্রী সেকথাই জানিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।
তবে ধোনি জাতীয় দলের সঙ্গে না থেকেও রয়েছেন কোহলিদের সঙ্গেই। গ্যালারিতে প্রিয় ভক্তদের মুখে জয়ধ্বনি হয়ে। ওয়াংখেড়েও সেই দৃষ্টান্তের ব্যতিক্রমী হতে পারল না।
ব্যাট করার সময়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। পরে ভারত বোলিং করার সময়ে আর গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে দাঁড়াননি তিনি। পরে বোর্ডের তরফে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়, কনকাশন হওয়ায় পন্থ আর কিপিং করবেন না। বরং লোকেশ রাহুল উইকেটকিপিং করবেন। পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামেন মণীশ পাণ্ডে।
লোকেশ রাহুল অনিয়মিত কিপার। ভুলভ্রান্তি ঘটতেই পারে। ২৪ তম ওভারেই যেমন। রবীন্দ্র জাদেজার ডেলিভারি মিডল ও লেগল স্ট্যাম্পের মধ্যে পড়ে ফ্লোট করে বেরিয়ে যায়। সেই বল গ্লাভস-বন্দি করতে পারেননি রাহুল। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। লোকেশের নামে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ চালু হয়ে যায়। ধোনির নামে উল্লাস শুরু করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ওয়ার্নার-ফিঞ্চ ভারতীয় বোলারদের তুলোধোনা করতে থাকেন। ডেভিড ওয়ার্নারের একটা ব্যাটের কানায় লাগা বল তালুবন্দি করতে পারেননি রাহুল একসময়। হতাশায় ধোনি-ধোনি স্লোগানে মেতে ওঠে গ্যালারি। পরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও 'ব্রিং ব্যাক ধোনি', 'ধোনি' শব্দবন্ধনী ট্রেন্ডিং হতে থাকে।
ওয়াংখেড়েতেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ঐতিহাসিক ছক্কায় ভারতকে ২৩ বছর পরে কাপ এনে দিয়েছিলেন রাঁচির মহাতারকা। তাঁর জন্য ওয়াংখেড়ে যে একটু উতলা হবে, এ আর অস্বাভাবিক কী!