আইপিএলে ধোনির অভিযান সম্ভবত প্রত্যাশার কিছু আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সিএসকে এবার একেবারেই ব্যর্থ। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটি জয় পেয়েছেন ধোনিরা। বাকি চার ম্যাচের একটিতে হারলেই খতম আইপিএল প্লে অফ।
সিএসকেতে ধোনি সম্ভবত শেষ আরেক মরশুম খেলবেন। তবে তারপরেই ধোনিকে দেখা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে। এমনই সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। ক্রিকেট.কম.এইউ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধোনি, রায়না, যুবরাজের মত বর্ষীয়ান তারকাদের পেতে ইচ্ছুক বিবিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। বিবিএলে আসন্ন মরশুমে প্রতি দলে দুইয়ের পরিবর্তে তিনজন বিদেশিকে খেলানো যাবে। সেই কারণেই বিদেশি তারকাদের সই করাতে উৎসাহী সব দল। ধোনি, রায়নার মত ক্রিকেটাররা যোগ দিল ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতার পাশাপাশি দলের ব্র্যান্ড ভ্যালুও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন: বিজেপির পুজোয় ডোনার নৃত্য পরিবেশন, সৌরভের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
তবে সমস্যা রয়েছে বোর্ডের নিয়মেই। বিদেশি লিগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহন নিয়ে কড়াকড়ি রয়েছে বোর্ডের নিজস্ব নিয়মে। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি২০ লিগে অবসর ঘোষণা করে যুবরাজ ইতিমধ্যেই বিদেশি লিগে খেলতে শুরু করেছেন। তবে ধোনি, রায়না এখনো টি২০ লিগের অংশ।
চলতি বছরেই বিবিএলের আসর বসছে ডিসেম্বরে। সেই সময় জাতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ায় সফরে হাজির থাকবেন। তার আগে ধোনি, রায়না সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করে বোর্ডের কাছ থেকে নো অবজেকশন শংসাপত্র জোগাড় করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সময়েই ধোনি ২০১৬ সালে বিগ ব্যাশ লিগে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিকাঠামোর জন্য কীভাবে যোগ্যতা মান সম্পন্ন ক্রিকেটাররা উঠে আসছেন, সেই বিষয়েও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
রাঁচির মহাতারকা জানিয়েছিলেন, "এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। তাই বিবিএলে অংশগ্রহণের সম্ভবনা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারব না। বিগ ব্যাশ লিগের মান বেশ উঁচু। যখন অবসর নেব তখন খেলার মত ফিটনেস ধরে রাখতে পারব কিনা, সেটাই দেখার।" রায়নার বয়স অবশ্য ধোনির থেকে অনেকটাই কম। মাত্র ৩৩ বছরে চূড়ান্ত ফিটনেসের অধিকারী তিনি। ইতিমধ্যেই রায়না বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাতে বিদেশি লিগে খেলার বিষয়ে বোর্ড নিজস্ব নিয়ম কিছুটা শিথিল করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন