রোহিত শর্মা আজ যে বিশ্বমানের ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পেরেছে, তাই অনেকটাই কৃতিত্ব ধোনির। এমন দরাজ শংসাপত্র দিলেন অন্য কেউ নন, ধোনির কট্টর সমালোচক হিসাবে পরিচিত গৌতম গম্ভীর।
সরাসরি ধোনিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়ে গম্ভীর জানিয়ে দিয়েছেন, "টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকমণ্ডলীর কথা অনেকে বলবেন। তবে যদি কেউ ক্যাপ্টেনের ব্যাকিং না পায়, তাহলে সবই অর্থহীন। সবকিছুই অধিনায়কের হাতে। যেভাবে ধোনি দীর্ঘদিন ধরে রোহিতকে ব্যাক করেছে, আমার মনে হয়না, অন্য কেউ হলে এভাবে করত। আজকের রোহিত হওয়ার পিছনে অনেকটাই অবদান ধোনির।"
২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেছেন, দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের আস্থা পেলে একজন ক্রিকেটার যে কোথায় পৌঁছতে পারে, তার আদর্শ উদাহরণ রোহিত।
গম্ভীর বলছেন, "সিনিয়রদের ভরসা পেলে একজন ক্রিকেটার যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে, তার উদাহরণ রোহিত নিজেই। ধোনির সবথেকে বড় গুণ হলো ও রোহিতকে সবসময়ই আলোচনার মধ্যেই রাখত। এমনকি যখন দলে থাকতো না রোহিত, তখনও রোহিতকে নিয়ে দলে কথাবার্তা হত। দলে না থাকলেও রোহিতকে স্কোয়াডে এভাবে রাখত ধোনি। কখনই ওকে সাইডলাইনে সরিয়ে দিত না ধোনি।"
সেকথা স্মরণ করে দিয়েই বর্তমান টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়রদের প্রতি গম্ভীরের বার্তা, "আশা করি বর্তমান প্রজন্মের উঠতি ক্রিকেটার সে শুভমান গিল হোক বা সঞ্জু স্যামসন- যেন একই ভাবে সাপোর্ট পায়। এখন রোহিত নিজেই সিনিয়র ক্রিকেটার। ধোনি যেভাবে তরুণদের সাপোর্ট করেছিল সেভাবেই যেন রোহিত, কোহলিরা তরুণদের সাহায্য করে।"
২০০৭ এ জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটে রোহিতের। শুরুতে জাতীয় দলের হয়ে একদমই ছাপ ফেলতে পারেননি প্রতিভাবান রোহিত। তবে ২০১৩ এ ধোনি রোহিতকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি মুম্বইকরকে। কিছুদিন আগেই গম্ভীর বর্তমান সময়ের সেরা সীমিত ওভারের ব্যাটসম্যান বলে দিয়েছিলেন রোহিতকে। হিটম্যান বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে তিনটে দ্বিশতরান হাঁকিয়েছেন। বিশ্বকাপের একটি সংস্করণে পাঁচটি সেঞ্চুরির বিরল মালিকও তিনি।