ক্রিস নোলানের বিখ্যাত মেমেন্টো সিনেমার প্রধান চরিত্র নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য শরীর জুড়ে উল্কি করাতেন। বলিউডে সেই সিনেমার উপর ভিত্তি করে নির্মিত 'গজনী'তেও আমির খানের চরিত্র পেশিবহুল শরীরে ট্যাটু করিয়ে রাখতেন নিজেকে মনে করিয়ে রাখার জন্য।
গজনী কিম্বা মেমেন্টো-র মতই ছিলেন স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভুল শট খেলে যাতে আউট না হয়ে যান, সেই কারণে ধোনি নিজের থাই প্যাডে লিখে রাখতেন। পুরোটাই নিজেকে সতর্ক করার জন্য।
এমনই অবাক করার মত ঘটনা শেয়ার করলেন সঞ্জয় বাঙ্গার। চরম টেনশনের ম্যাচে ধোনি ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল থাকার জন্য বিখ্যাত। কেরিয়ারের শুরুর দিকে ধোনি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য নাম কুড়িয়ে নিয়েছিলেন অল্প দিনেই। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যথাক্রমে ১৪৮, ১৮৩ ইনিংস এখন ক্রিকেটের লোকগাঁথায়।
আরো পড়ুন: হেরে রাগে ফেটে পড়লেন ধোনি, দলের তরুণ ক্রিকেটাররা এবার কাঠগড়ায়
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পুরোনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে আমূল বদলে ফেলেন তিনি। আক্রমণাত্মক ভঙ্গি ছেড়ে ধোনি নিয়ন্ত্রণের নাগপাশে নিজেকে বন্দি করে ফেলেন। তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বে আসার পরে ধোনি বেপরোয়া অসংযত ভাবভঙ্গি নয় বরং আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে চাইতেন।
ধোনি ফিনিশার। বহু ম্যাচ দেশকে জিতিয়ে।ফিরেছেন তিনি। তবে নিজেকে ইনিংসের মাঝে আত্মসচেতন করার জন্য থাই প্যাডে সতর্ক করে রাখতেন। নিজের পরিকল্পনা লিখে রাখতেন।
বাঙ্গার সেই বিষয়ে খোলসা করে বলেছেন, "খুব সম্প্রতি জানতে পেরেছি ধোনি কীভাবে নিজের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার উপর রাশ টানতে চেয়েছিল। ১,২- টিক টক, ৪-৬- ক্রশ ক্রশ- এভাবেই নিজের থাই প্যাডে ধোনি লিখে রাখত। যতবার ধোনি ব্যাট করতে যেত ততবার নিজের প্যাডে এভাবে লিখে রাখত। প্রতিবার ধোনি সেই লেখা দেখে নিজেকে বড় শট খেলা থেকে নিবৃত্ত করত। সিঙ্গলস, টুজ- নিজে এভাবেই নিজেকে ধোনি মহান ফিনিশারের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল।"
মাইকেল বিভানের সঙ্গে তুলনা টেনে এরপরে বাঙ্গার আরো বলেন, "বিশ্বের সেরা ফিনিশাররা সিঙ্গলসের ভূমিকা উপলব্ধি করেছে। ধোনি, বিভানের দিকে তাকানো যাক! দুজনের ইনিংস গড়ার মধ্যেই এই বিষয়ে অনেক মিল রয়েছে। সবসময় চার, ছয় হাকিয়েই ম্যাচ জেতা যায় না। দুজনেই এভাবে দলকে বহু ম্যাচ জিতেছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন