গত রবিবার মধ্য়রাত থেকে সোমবার সারা দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একজনই বিরাজ করেছেন। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি।বেঙ্গালুরু দেখেছে এক 'অতিমানবিক' ধোনিকে। ৩৭ বছরের ধোনির খেলা দেখে মনে হচ্ছিল সদ্য যৌবনে পা দেওয়া কোনও ক্রিকেটার ধ্বংসলীলা চালাচ্ছেন চিন্নাস্বামীতে।
আইপিএল শেষ ১২ বছরের ইতিহাসে অন্যতম রুদ্বশ্বাস ম্যাচ দেখেছিল। শেষ বলের থ্রিলারে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এক রানের ‘অপ্রত্যাশিত’ জয় ছিনিয়ে এনেছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। জীবনের সেরা টি-২০ ইনিংস (৪৮ বলে ৮৪) খেলেও চেন্নাই সুপার কিংসের বৈতরণী পার করাতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। এই ম্যাচে ধোনিকে তাঁর পরিচিত অবতারেই পাওয়া গিয়েছিল। অসম্ভবকে সম্ভব করার ইঙ্গিত ছিল তাঁর উইলোতে। চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য় শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল ২৪ রান। তীরে এসেও ইয়েলো আর্মির তরী ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: কীর্তির দিনেই ধোনির ব্য়াটে মহা-রেকর্ড, ছক্কায় ছক্কায় বেশিদূর নেই কোহলিরাও
উমেশ যাদবের ওভারে ধোনি তিনটি ছয় মেরেছিলেন। উমেশের প্রথম বলে চার মারার পর, দ্বিতীয় বলেই ধোনি ছয় হাঁকান। অফস্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থের বল ধোনি পাঠিয়েছিলেন চিন্নাস্বামীর বাইরে। চলতি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ছয়টা এল তাঁর ব্যাট থেকেই। ১১১ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে তাঁর মারা ওভার বাউন্ডারিটি। সোশাল এই ছয়তেই মাতোয়ারা। অনেকের মতেই ধোনির মারা সাতটি ছয়ের মধ্যে এটাই শ্রেষ্ঠ। চলতি মরসুমে সিএসকে-র নেটেও ধোনি এরকম সব গগনচুম্বী ছক্কাই হাঁকিয়েছেন। ম্যাচে তারই ছাপ রাখলেন।