Diamond Harbour FC's Rise: From I-League 3 to ISL Ambitions: গতবছরই আইলিগ-৩ য় চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছিল আইলিগ ২-য়। এবার সেখানেও এগিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসি। এরাজ্যের বাটানগরের দল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। দেশের ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে অনেক পিছন থেকে শুরু করা এই দল এগিয়ে যাচ্ছে তড়তড়িয়ে। তাদের লক্ষ্য আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আর, তারপর আইএসএলে পা রাখা।
বর্তমানে ১২ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ডায়মন্ড হারবার। শুক্রবারই খেলা ইউনাইটেডের সঙ্গে। আইলিগ-২ র তালিকায় ডায়মন্ড হারবার যখন একনম্বরে, ইউনাইটেডের অবস্থান ছয়ে। তারপরও এই দলকে হালকাভাবে নিতে নারাজ ডায়মন্ড কোচ কিবু ভিকুনা। অতীতে মোহনবাগানকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে এই কোচের। পাশাপাশি অভিজ্ঞতা রয়েছে কেরল ব্লাস্টার্সকে কোচিং করানোরও। তাঁর কোচিংয়েই ডায়মন্ড হারবার আইলিগের তৃতীয় ডিভিশন থেকে সেকেন্ড ডিভিশনে উঠেছে।
সেই কোচ আশাবাদী তাঁর দল আইএসএলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এই ব্যাপারে তিনি বলেছেন, 'সেটা আমার লক্ষ্য। এখন আমি আইলিগের সেকেন্ড ডিভিশনে একনম্বর পজিশনে আছি। তবে, আমি প্রতিটি ম্যাচকে নিয়েই আলাদাভাবে ভাবতে চাই। সেগুলোতে ভালো খেলে আইলিগ খেলাই এখন আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।' ভিকুনা আরও জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য শুধু আইলিগ খেলা নয়। আইলিগে ভালো খেলার পর তাঁর লক্ষ্য থাকবে আইএসএলে ওঠা। এই ব্যাপারে ভিকুনা বলেন, 'প্রথমে আমার লক্ষ্য আইলিগে ওঠা। আইলিগে জিতলে আইএসএলে খেলা যাবে। সবাই জানে আইএসএল ঠিক কতটা কঠিন। কিন্তু, আমরা সেই অবিশ্বাস্য কাজটাই করব। আমার ছেলেরা অভিজ্ঞ। তাঁরা বেশ ভালো খেলছে। এরপর আমরা নিজেদের আরও উন্নত করব। দেশের এবং বিদেশের থেকে আরও ভালো খেলোয়াড়দের নেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন- হায়দরাবাদকে হারাতে মরিয়া কেকেআর, বিকেলের বৃষ্টিই হবে পথের কাঁটা?
আইলিগের থার্ড ডিভিশনই শুধু নয়। ইতিমধ্যে কলকাতা লিগ এবং রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগেও দুর্দান্ত ফল করেছে ডায়মন্ড হারবার। প্রথম বছরই তারা রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগের জাতীয় রাউন্ডে উঠেছে। অভিষেকেই ৮৪ টিমের মধ্যে সেরা ১২ টিমে উঠে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই দল। তা-ও তেমন কোনও বিশাল অর্থে চুক্তি করা খেলোয়াড়দের না নিয়েই। এই সাফল্যের রহস্যের সম্পর্কে ক্লাবের সহ-সভাপতি আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমরা সঠিক পথ ধরে এগোতে চেষ্টা করেছি। সিনিয়র দলে আমরা কিবু ভিকুনার মত কোচকে দায়িত্ব দিয়েছি। পাশাপাশি জুনিয়র দলকেও আমরা সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। এই দল থেকে অনেক খেলোয়াড় ভবিষ্যতে সন্তোষ ট্রফি এবং ভারতের হয়ে খেলবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।'