বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। তবে এখনও আশা হারাচ্ছেন না দীনেশ কার্তিক। তিনি নিজেই জানাচ্ছেন, টি২০তে তিনি এখনও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীনেশ কার্তিক জানিয়েছেন "বিশ্বকাপ পরিকল্পনা মতো যায়নি। একদিনের ম্যাচ থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারছি। তবে টি টোয়েন্টিতে আমার রেকর্ড কিন্তু যথেষ্ট ভালো।"
তিনি আরো জানিয়েছেন, "টি টোয়েন্টি দলে এখনও ফিরতে পারি। সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভালো খেলেছি। টিটোয়েন্টিতে যে আমাকে ফেরানো হতে পারে, তা নিয়ে আমার কাছে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।"
জাতীয় দলের জার্সিতে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওডিআই সহ ৩২টি টি ২০ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন তারকা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে টি টোয়েন্টিতেই কার্তিকের ম্যাচ পিছু গড় সবথেকে বেশি। প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩৩.২৫ রান করেছেন ১৪৩.৫২ স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
বাদ পড়া কতটা কষ্টের তা জানাতে গিয়ে তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার বলেন, "কোনও সন্দেহ নেই। বাদ পড়লে বেশ কষ্ট হয়। তবে দেশের হয়ে খেলার জন্য সবসময়েই মুখিয়ে থাকতাম, এখনও সেই ইচ্ছে এতটুকু কমেনি।"
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানের স্লটে খেলার দাবিদার একাধিক। ধোনি জমানা পতনের পর ঋষভ পন্থকেই একনম্বরের তকমা দেওয়া হচ্ছিল। তবে বারেবারে ব্যর্থ হওয়ার পর কেএল রাহুলকে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানো হচ্ছে। সেই ভূমিকায় তিনি সফল।
তবে অনেকেই আবার বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ধোনিকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলছেন। লড়াইয়ে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসনও। এর মধ্যেই নিজের নাম ভাসিয়ে দিলেন দীনেশ কার্তিক।
সেই কথা মাথায় রেখেই কার্তিক জানাচ্ছেন, "সামনেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমি জানি যদি ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারি তাহলে জাতীয় দলে ফেরার ভালো সম্ভবনা রয়েছে। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন আরো কঠিন। দল প্রতিদিনই শক্তিশালী হচ্ছে। এটা দেখতেও ভালো লাগে। আমাকেও নিজের পারফরম্যান্স উন্নত করতে হবে।"
আইপিএল খেলে নিজের জাত চেনাতে মুখিয়ে ছিলেন কেকেআর তারকা। তিনি অবশ্য সাফ জানাচ্ছেন, "যা হচ্ছে তার পরে আইপিএল নিয়ে বেশি কিছু ভাবছি না। আমি এমন জায়গায় চলে এসেছি যেখান থেকে ধরেই নিয়েছি আইপিএল হচ্ছে না। লকডাউনের আগে আইপিএলের অনুশীলনের জন্য অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছিলাম।"
ক্রিকেট দূরে সরিয়ে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন নিয়ে কার্তিক আপাতত ঘরে থেকে ভাইরাস মোকাবিলা করার পরামর্শ দিয়েছেন সবাইকে। তিনি বলেছেন, "গোটা বিশ্বই আশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। পুরো বিশ্বই ভাইরাসের মোকাবিলা করছে। আশা করছি এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব।"