Dinesh Karthik retirement: শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন দীনেশ কার্তিক। ২০০৪-এর সেপ্টেম্বরে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে অভিষেক ঘটেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তারপর জাতীয় দল অত বটেই হাফডজন ভিন্ন ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে আইপিএল খেলে ফেলেছেন।
পেশাদারি ক্রিকেটে কার্তিকের সর্বশেষ ম্যাচ আইপিএলের প্লে অফে। আরসিবি যে ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নেয়।
আরও পড়ুন: ছক্কায় ছক্কায় সাকিবকে সর্ষে ফুল দেখালেন পন্থ! মাথায় হাত সিনিয়র টাইগারের, দেখুন বিধ্বংসী ভিডিও
অবসরকালীন বার্তায় কার্তিক বলেছেন, "গত কয়েক দিন ধরে আমি যে স্নেহ, সমর্থন এবং ভালবাসা পেয়েছি তাতে আমি অভিভূত। আমার গভীর কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ সকল সমর্থকদের যারা আমাকে এই বিশেষ অনুভূতি উপহার দিয়েছেন। অনেক ভাবনা চিন্তা করেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে আমার অবসর ঘোষণা করছি। ক্রিকেটীয় দিন পিছনে ফেলে আপাতত আগামী দিনের চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় থাকলাম।"
"আমি আমার সমস্ত কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, সতীর্থ এবং সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা এই দীর্ঘ যাত্রাকে আনন্দদায়ক করে তুলেছেন। আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ ক্রিকেটারের মধ্যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি। সেই জন্যই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। এখনও অবিরত ভালবাসা এবং সমর্থন পাওয়ায় আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান।"
"আমার বাবা-মা এই সমস্ত বছর ধরে শক্তি এবং সমর্থনের স্তম্ভ হয়ে রয়েছেন আমার। এবং তাঁদের আশীর্বাদ ছাড়া আমার পক্ষে কোনওকিছুই অর্জন করা সম্ভব হত না। আমি দীপিকার কাছেও প্রচুর ঋণী। পেশাদার ক্রীড়াবিদ হয়েও আমার সঙ্গে পথ চলার জন্য নিজের কেরিয়ার স্থগিত রাখতেও যে দ্বিধাবোধ করেনি। অবশ্যই, আমাদের দুর্দান্ত সমস্ত খেলার পিছনে সমস্ত ভক্ত এবং অনুগামীদের অসংখ্য ধন্যবাদ!" বলে দিয়েছেন কার্তিক।
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দেশের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৮০টি ম্যাচ। একটি টেস্ট শতরান এবং ১৭টি অর্ধশতরান সহ কার্তিকের মোট আন্তর্জাতিক রানসংখ্যা ৩৪৬৩। এছাড়াও কার্তিক ১৭২টি আউটে অবদান রেখেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উইকেটের পিছনে স্ট্যাম্পিং, ক্যাচিং এবং আউটফিল্ডেও আউট করেছেন সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে।
আইপিএলে আরসিবির হয়ে দুরন্ত খেলার সুবাদে একসময় টি২০ বিশ্বকাপগামী জাতীয় দলের স্কোয়াডে তাঁর নাম ভেসে উঠেছিল। তবে নির্বাচকরা বর্ষীয়ান তারকাকে গতবারের মত আর সুযোগ দেননি। তরুণ পন্থ, সঞ্জু স্যামসনের ওপর আস্থা রেখেছেন আগারকাররা। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক মুখেই তাই কার্তিক অবসরের ঘোষণা করতে দ্বিধা করলেন না।
২০০৮-এ আইপিএলের সূচনা লগ্ন থেকে ছয়টি আলাদা আলাদা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন কার্তিক। আইপিএলের ইতিহাসে তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ পারফর্মার হিসাবেই ফিনিশ করলেন। ১৭ সিজন ধরে ৫০০০-এর বেশি রান করেছেন। ১৪৫ ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি ৩৭টি স্ট্যাম্পিংও করেছেন কার্তিক।
২০২২-এ ১৮৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৩০ রান করার পর কার্তিক টি২০ বিশ্বকাপগামী জাতীয় দলের স্কোয়াডে জায়গাও করে নিয়েছিলেন। সেটাই শেষমেশ হয়ে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। এবারেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আর হয়নি।