ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে উপস্থিত থেকে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি লঙ্ঘণ করেছিলেন দীনেশ কার্তিক। বোর্ডের চিঠি পাওয়ার পরেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তারকা। এতেই বরফ গলল। বোর্ড কার্তিকের চিঠি গ্রহণ করে বুঝিয়ে দিয়েছে, আপাতত সতর্ক করেই ক্ষান্ত থাকছে তাঁরা। ঘটনার সমাপ্তি চাইছে বোর্ড।
শাহরুখ খানের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ড্রেসিংরুমে বসে সিপিএলের খেলা দেখেছিলেন। গায়ে ছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের জার্সি। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী যা গর্হিত ‘অপরাধ’। এমন কাণ্ড ঘটিয়েই বোর্ডের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কার্তিক।
বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ভারতীয় বোর্ড পরিচালিত আইপিএল বাদে বিদেশের কোনও টি টোয়েন্টি লিগের প্রমোশনে থাকতে পারবেন না কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতাধীন কোনও ক্রিকেটার। প্রথম থেকেই ভারতীয় বোর্ডের মনোভাব কার্যত অনঢ়। এই কারণেই অবসর নেওয়া বাদে বর্তমান কোনও ক্রিকেটাররা বিদেশের টি টোয়েন্টি লিগে অংশ নিতে পারেন না। তবে এই নিয়মই ভেঙেছিলেন দীনেশ। এমনটাই অভিযোগ ছিল বোর্ডের।
যেহেতু কেকেআরের ক্রিকেটার তিনি। তাই শাহরুখ খানের সিপিএলে কেকেআরেরই অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের অনুরোধে হাজির হয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান মুলুকে। সেখানেই ড্রেসিংরুমে শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলা দেখেছিলেন তিনি। তারপরেই বোর্ডের তরফে শোকজ নোটিস পাঠিয়ে রীতিমতো জবাবদিহি চেয়ে বলা হয়, এই কারণে কেন কেন্দ্রীয় চুক্তি ছিন্ন করা হবে না দীনেশ কার্তিককে।
এরপরে অবশ্য কোনও বিতর্কে না গিয়ে সরাসরি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। সেখানে তিনি বোর্ডকে যা জবাব দিয়েছেন তাতে লেখা রয়েছে, প্রাক্তন ফ্র্যাঞ্চাইজি সতীর্থ ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকুলামের অনুরোধে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিলেন। তাঁরই অনুরোধে তিনি জার্সি গায়ে খেলা দেখেছিলেন। “পুরো ঘটনায় বিসিসিআইয়ের তরফে আগে থেকে অনুমতি না নেওয়ার জন্য আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” জানিয়েছেন কার্তিক। পাশাপাশি আরও জানিয়েছেন, “ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোনও ক্রিকেট সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত নই। সিপিএলের আগামী কোনও ম্যাচে আর হাজির থাকব না।”
এতেই বোর্ড ক্ষমা করে দিচ্ছে তারকাকে। চিঠি গ্রহণ করাতেই বার্তা স্পষ্ট।
Read the full article in ENGLISH