/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/03/diogo-jota-car-accident-2025-07-03-15-30-48.jpg)
গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দিয়েগো জোতা
Footballer Death: শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ফুটবল বিশ্বে। মাত্র ২৮ বছরে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন লিভারপুলের (Liverpool) তারকা ফরোয়ার্ড দিয়েগো জোতা (Diogo Jota)। কিন্তু, পর্তুগালের এই তারকা ফুটবলার কি আগেই আঁচ করেছিলেন তাঁর মৃত্যুর (Diogo Jota Death) কথা। ইনস্টাগ্রামের শেষ পোস্ট ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য।
১৯৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর পতুর্গালের পোর্তো শহরে জন্মগ্রহণ করেন দিয়েগো জোতা। ২০১৪ সালে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৪ দলে নাম লিখিয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর এন্ট্রি নেন জাতীয় ফুটবল দলে। জোতা ৪৯ আন্তর্জাতিক ম্য়াচ খেলেছেন। এরমধ্যে ১৪ গোল করেছেন তিনি।
২০২০ সালে লিভারপুল দলে যোগদান করেন জোতা। গত ৫ বছরে এই ক্লাবের হয়ে তিনি মোট ১২৩ ম্য়াচ খেলেন। এরমধ্যে ৪৭ গোল করেছিলেন। বেশিরভাগ ম্য়াচেই তাঁকে ফরোয়ার্ড কিংবা লেফট উইঙ্গার পজিশনে দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
একদিন আগেই শেয়ার করেছিলেন বিয়ের ভিডিও
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, দিয়েগো জোতা এবং রুট কার্ডোজো গত কয়েক বছর ধরেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। অবশেষে ২০২৫ সালের ২২ জুন তাঁরা বিয়ে করেন। কয়েকদিন আগেই ছবি শেয়ার করে এই খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন জোতা। এমনকী, বুধবার তিনি বিয়ের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। এই দম্পতির ৩ সন্তানও রয়েছে।
শেষ ইনস্টা পোস্টে জোতাও তাঁর বিয়ের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, 'এমন একটা দিন, যা জীবনে কোনওদিনও ভুলব না।' এই পোস্টের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই তারকা ফুটবলার। ইতিমধ্যে, অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে মৃত্যুর খবর আগে থেকে আঁচ করেই ১০ দিন আগে বিয়েটা করে নিয়েছিলেন জোতা। যদিও এই অনুমান যে একেবারেই ভিত্তিহীন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Diogo Jota Death: চাকা ফেটে পাল্টি ল্যাম্বর্ঘিনির,
পর্তুগাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়ে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'আজ সকালেই দিয়েগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা পতুগাল ফুটবল আজ শোকস্তব্ধ। জাতীয় এ দলের হয়ে প্রায় ৫০ ম্য়াচ খেলেছেন। একজন দারুণ মানুষ ছিলেন। সতীর্থ ফুটবলারদের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দলও তাঁকে যথেষ্ট সম্মান করতেন। সবসময় হাসিখুশি মেজাজে থাকতেই ভালবাসতেন।'