Advertisment

দীপেন্দুর পাখির চোখ সন্তোষে, বোরহার চোটে চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল কোচ

শেষ সাত ম্যাচে দীপেন্দুর ছেলেরা অসাধারণ ফুটবল খেলেছে। শুধু বড় ব্যবধানে মোহনবাগানের মতো কঠিন দলকেই হারায়নি তাঁরা, বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে দশ জনে ফুটবল খেলেও রীতিমতো ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য রেখেছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
east bengal press conference

সাংবাদিক সম্মেলনে আলেহান্দ্রো ও তাঁর সহকারী (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা লিগের শুরুতে মহমেডানের দায়িত্বে ছিলেন ময়দানের দুঁদে কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। চার ম্যাচ পরেই দায়িত্ব নেন দীপেন্দু বিশ্বাস ও শহিদ রমনরা। লিগের শুরুর মহমেডান আর এখনকার মহমেডান যেন আকাশ-পাতাল বদলে গিয়েছে।

Advertisment

শেষ সাত ম্যাচে দীপেন্দুর ছেলেরা অসাধারণ ফুটবল খেলেছে। শুধু বড় ব্যবধানে মোহনবাগানের মতো কঠিন দলকেই হারায়নি তাঁরা, বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে দশ জনে ফুটবল খেলেও রীতিমতো ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য রেখেছিল। এই মহমেডান দীপেন্দু-রমনের হাত ধরে চার দশক পর লিগ জয়ের স্বপ্নে বিভোর হয়েছিল। কিন্তু এদিন লাল-হলুদের কাছে হেরেই তাদের লিগ অভিযান কার্যত শেষ হয়ে গেল। কিন্তু মহমেডানের খেলায় গর্বিত টিডি দীপেন্দু। বলছেন, "ছেলেরা দারুণ খেলেছে। আমি আর কোচ দু'জনেই গর্বিত ওদের জন্য। বিরতির পর বলেছিলাম যে, ১০ জনেও ম্যাচ জেতা সম্ভব। ওরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। আরেকটু হলেই ড্র হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেটা হয়নি। আমরা হেরে গেলাম। ইস্টবেঙ্গল ভাল ফুটবল খেলেছে। ওদের কোচেরও স্ট্র্যাটেজি ভাল ছিল।"

mohammedan fc সাংবাদিক সম্মেলনে মহামেডান এফসি (নিজস্ব চিত্র)

আরও পড়ুন দুরন্ত ইস্টবেঙ্গল খেতাবি লড়াইয়ে এগিয়ে গেল, স্বপ্নভঙ্গ মহামেডানের

অন্যদিকে এদিনই উড়িষ্যাকে ৪-০ হারিয়ে সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে উঠে গেছে বাংলা। এই মহমেডান দলেরই ৬-৭ জন বাঙালি ফুটবলার সেখানে খেলবেন। দীপেন্দু বলছেন, "দেখে নেবেন বাংলা এবার সন্তোষ ট্রফি জিতবে। আমার দলের ফুটবলাররা এবার বাংলার হয়ে খেলবে। এটাই আমার প্রাপ্তি। চমকে দেবে ওরা।" অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেয়ান্দ্রো গার্সিয়া দলগত পারফরম্যান্স আর এই জয় খুশি। তিনি বললেন, "মহমেডান ভাল দল। ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছি। যদিও সার্বিক বিচারে আমরা অনেক ভাল খেলেছি। ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি।"

যদিও আলেয়ান্দ্রো এখনই ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দেখছেন না। তাঁর বক্তব্য, "আমি আগেই বলেছি লিগ শেষে বোঝা যাবে আমার দল কেমন। এখন কিছু বলব না। আজ শেষ দশ মিনিট মহমেডান বেশ ভালো খেলেছে। ওদের কাছে হারানোর কিছু ছিল না। তাই ওরা অল আউট খেলেছে। এখন আমরা শেষ ম্যাচ জিততে চাই। দেখা যাক খেতাব জিততে পারি কিনা!" যদিও আলের চিন্তা বাড়িয়েছে বোরহা গোমেজ। তাঁকে আজ খোঁড়াতে দেখা যাচ্ছিল। লাল-হলুদ কোচ বলছেন, "বোরহার হাঁটুর চোটটা বেশ ভালই লেগেছে। হাঁটু ফুলে রয়েছে। চোট পরীক্ষার পরেই বোঝা যাবে কত'টা গুরুতর।"

East Bengal Kolkata Football
Advertisment