একাধিকবার জুয়াড়ির থেকে ম্য়াচ গড়াপেটার প্রস্তাব। তবুও শাকিব আল হাসান আইসিসি-র অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (এসিএসইউ)কে এ ব্য়াপারে কোনও রিপোর্টই করেননি। আর যার দায় বাইশ গজের এক নম্বর অলরাউন্ডার ও ক্যাপ্টেনকে ২৪ মাসের জন্য় নির্বাসিত করেছে আইসিসি।
এই নির্বাসনের পর শাকিবের পক্ষে আর আসন্ন ভারত সফরে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। শাকিব আগামী বছর আইপিএল ও টি-২০ বিশ্বকাপেও (১৮ অক্টোবর-১৫ নভেম্বর) খেলতে পারবেন না। শাকিব আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন আগামী বছর ২৯ অক্টোবর।
আইসিসি জানিয়েছে অভিযুক্ত জুয়াড়ির নাম দীপক আগরওয়াল। তিনি বেশ কয়েকবার শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোপন তথ্য় জানার চেষ্টা করেছে তাঁর থেকে। শাকিব এ ব্য়াপারে আইসিসি বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে একটি কথাও জানাননি। আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখাকে কেন শাকিব জানাননি, সেটাও পরিস্কার নয়। জানা যাচ্ছে ২০১৭-র নভেম্বর থেকে ২০১৮-র এপ্রিল পর্যন্ত দীপকের সঙ্গে শাকিবের শাকিবের হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট চালাচালি হয়। এসব কিছুই শাকিব আইসিসি-কে জানাননি।
আরও পড়ুন-দু’বছরের জন্য শাকিব আল হাসানকে নির্বাসিত করল আইসিসি
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮-র জানুয়ারি মাসে ত্রি-দেশীয় সিরিজ চলাকালীন। তখন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ের মধ্য়ে খেলা চলথিল। বাংলাদেশ হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ম্য়াচের সেরা হন শাকিব। তাঁকে দীপক শুভেচ্ছা জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করে লিখেছিলেন, “আমরা কি এখনই কাজ শুরু করব নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?” এমন এই মেসেজ দেখেই সন্দেহ হয় আইসিসি-র। কাজ শুরু করা বলতে দীপক এখানে গোপন তথ্য় সরবরাহের কথাই বলেছিলেন। আর এর ঠিক দিন চারেক পর শাকিবকে আবার দীপক মেসেজ করে লেখেন, “ভাই এই সিরিজ নিয়ে কিছু জানাবে?” শাকিব এর পরেও একটা কথা জানায়নি আইসিসি-কে।
Read full story in English