ডুরান্ড প্রিসিজন টুর্নামেন্ট হিসাবেই খেলতে নেমেছে মোহনবাগান। সবুজ মেরুন শিবির এবার একই পজিশনে একাধিক তারকা ফুটবলারের অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়েছে। আইএসএল ছাড়াও এএফসি কাপে নামতে হবে মেরিনার্সদের। টানা ফুটবল মরশুমে যাতে চোট আঘাত কোচের প্ল্যানিংয়ে বাধা না হয়ে দাঁড়াতে পারে, সেই জন্যই স্কোয়াডের গভীরতা এবার বাকি দলগুলোর কাছে ঈর্ষার বিষয়।
ডুরান্ড তাই স্কোয়াডের ফুটবলারদের ম্যাচ ফিটনেস দেখে নেওয়ার মঞ্চ। সেই সঙ্গে তরুণদের প্রমাণের মঞ্চও বটে। প্ৰথমে ঠিক ছিল বাস্তব রায়কে কোচের ডাগ আউটে রেখেই ডুরান্ড অভিযানে নামবে বাগান। তবে প্ৰথম ম্যাচের পরেই মোহনবাগানের কোচের সিটে পদার্পন ঘটেছে হুয়ান ফেরান্দোর।
টুর্নামেন্টের প্ৰথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মিকে তরুণ স্কোয়াড নামিয়েও পাঁচ গোলের মালা পরিয়েছিল বাগান। লিস্টন, মনবীর বাদে দল সাজানো হয়েছিল একদম রাজ বাসফোরে, সুমিত রাঠি, আমান, তাইসন, অভিষেক, হামতে, সুহেলদের মত তরুণদের নিয়ে। কলকাতা লিগে খেলা বিদেশি বিহীন তরুণ সেই ব্রিগেডই বাংলাদেশের দলকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছিল।
দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে অবশ্য অনেকটাই শক্তিশালী দল নামিয়েছিলেন কোচ ফেরান্দো। মনবীর, লিস্টন, অভিষেককারী আনোয়ার আলি, শুভাশিস বোসদের মত তারকাদের সঙ্গেই স্প্যানিশ কোচ বিদেশির কোটায় নামিয়ে দিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, ব্রেন্ডন হ্যামিল, হুগো বুমোসদের। শক্তিশালী স্কোয়াড পাঞ্জাবকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।
এবার ডুরান্ডের ডার্বিতে সেরা তরুণ ফুটবলার বোঝাই নয়, সেরা তারকাদেরই নামাতে চলেছে মোহনবাগান। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার। আশিক কুরুনিয়ান, জেসন কামিন্স, সাহাল আব্দুল সামাদ, আর্মান্দো সাদিকু, অনিরুদ্ধ থাপাকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হল ডুরান্ডের স্কোয়াডে। আশিক কুরুনিয়ান বাদে বাকি চার তারকাই এবার মোহনবাগানের নতুন রিক্রুট। পাঁচ জন তারকাকে ডুরান্ডের স্কোয়াডে প্রাথমিকভাবে রাখেনি বাগান। তবে ডার্বির ঠিক আগেই পাঁচ সুপারস্টারকে স্কোয়াডে ঢুকিয়ে লাল-হলুদ শিবিরে আতঙ্কের সঞ্চার করল বাগান।
ডুরান্ড কাপ প্রাক মরশুম টুর্নামেন্ট হওয়ায় প্লেয়ারদের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ নেই। এই শিথিলতার জন্যই অংশগ্রহণকারী বাকি দলগুলো স্কোয়াড ঘোষণা করলেও মোহনবাগান সরকারিভাবে কোনও স্কোয়াড ঘোষণা করার পথে হাঁটেনি।
রবিবার ডার্বি খেলে ওঠার ৭২ ঘন্টা পরেই এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে নামতে হবে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের। প্রথম ম্যাচেই মোহনবাগানের সামনে মাছিন্দ্রা এফসি। নেপালের দলটির বিপক্ষে নামার আগেই সম্ভবত তারকা ফুটবলারদের ডার্বিতে দেখে নিতে চান।
কামিন্স-সাদিকু-পেত্রাতোসদের ঝড় সামলাতে পারবে কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল, সেটাই আপাতত দেখার।