মোহনবাগান: ২ (মেলরয়-আত্মঘাতী, হুগো বুমোস)
পাঞ্জাব এফসি: ০
প্ৰথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মিকে পাঁচ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দুটো গোল-ই এল মোক্ষম সময়ে।
আইএসএল-এ এবার প্রমোশন ঘটিয়ে খেলতে নামবে পাঞ্জাব এফসি। আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইএসএল-এ উঠেছে পাঞ্জাব। সেই পাঞ্চাব-ই দুর্ধর্ষ ফুটবল উপহার দিয়ে শক্তিশালী মোহনবাগানকে আটকে দিয়েছিল বিরতির আগে। তবে কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়নি বাগানকে। মেলরয় আসিসি আত্মঘাতী গোল করে যান। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুক্ষণ পরেই বাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন হুগো বুমোস।
দ্বিতীয় ম্যাচে যথেষ্ট শক্তিশালী স্কোয়াড মাঠে নামিয়েছিল মোহনবাগান। ব্রেন্ডন হ্যামিল, হুগো বুমোসকে বিদেশি হিসাবে নামিয়েছিল বাগান। সেই সঙ্গে লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, গ্লেন মার্টিন্স, বিশাল কাইথ, শুভাশিস বোসের মত প্ৰথম একাদশের একাধিক তারকাকে নামিয়ে দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। হুয়ান ফেরান্দো এই ম্যাচেই প্ৰথমবার ডাগ-আউটে বসলেন। আনোয়ার আলির বাগান জার্সিতে অভিষেক হল সোমবারেই। রক্ষণে হ্যামিলের সঙ্গে দুরন্ত পার্টনারশিপ উপহার দিলেন জাতীয় দলের তারকা। এই জুটিকে নিয়ে মেরিনার্সরা স্বপ্ন দেখতেই পারেন আসন্ন সিজনে।
সামনেই ডার্বি। তারপরে এএফসি কাপের ম্যাচ। সেই কারণেই সোমবারের ম্যাচ বাগানের কাছে ছিল দেখে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে মসৃণ ফুটবল খেলতে পারেনি বাগান। বিরতির আগে পর্যন্ত বাগানের সমস্ত প্রতিরোধ আটকে দিয়েছিল পাঞ্জাবের স্পিরিটেড ফুটবল।
২৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোল ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছিল বাগানের। মাঝমাঠ থেকে লং বল পেয়ে নিখিল প্ৰভুকে মাটি ধরিয়ে দারুণ ক্রস বাড়িয়েছিলেন মনবীর। সুহেল ভাটকে লক্ষ্য করে। তবে সেই ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন মেলরয় আসিসি।
বিরতির পরেই দ্বিতীয় গোল করে ফেলে বাগান। লিস্টন এবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন। পরিবর্ত হিসাবে নামা পেত্রাতোসের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে লিস্টন গোলমুখী শট নেন। কিরণ লিম্বু সেই শট বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বলে গোল করে যান হুগো বুমোস।
লুকা মাজসেন সেভাবে ডাগ কাটতে পারেননি। পাঞ্জাব ক্যাপ্টেনের একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তাঁর অন্য একটি নিশ্চিত গোলের শট বাঁচিয়ে দেন বিশাল কাইথ।