ইস্ট-মোহন ডার্বি মানেই একচ্ছত্রভাবে মোহনবাগানের আধিপত্য। অন্তত সাম্প্রতিক গত কয়েকটি সিজনে ডার্বির ইতিহাস সেরকমই বলছে। রবি ফাউলার, মানলো দিয়াজ থেকে স্টিফেন কন্সটানটাইন- একের পর এক কোচ বদল হয়েছে। তবে ডার্বিতে লাল-হলুদের ভাগ্য আর সুপ্রসন্ন হয়নি।
গত সিজনেই স্টিফেন কনস্টানটাইনের ইস্টবেঙ্গল মুখ থুবড়ে পড়েছিল মোহনবাগানের সামনে। চার বছর ধরে ডার্বিতে ক্রমাগত হারতে চলা ইস্টবেঙ্গলকে এবার অবশ্য বেশ সমীহই করছেন মোহনবাগান বস হুয়ান ফেরান্দো। বলে দিচ্ছেন, এবারের ইস্টবেঙ্গল যথেষ্ট কঠিন ঠাঁই।
ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হুয়ান ফেরান্দো জানিয়ে দিয়েছেন, "ডার্বি সবসময়ই আলাদা ম্যাচ। পরের ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে জিতে পরবর্তী পর্বে পৌঁছনো নিশ্চিত করতে চাই আমরা। এবার আমরা কলকাতা লিগ, আইএসএল, ডুরান্ড, এএফসি কাপ সমস্ত টুর্নামেন্টে জয়ের জন্য নামছি।"
"এবার ইস্টবেঙ্গল যথেষ্ট ভাল দল গড়েছে। বেশ কয়েকজন ভালো ফুটবলার রয়েছে ওঁদের। মন্দার ভালো ফুটবলার। তবে আমরাও কোয়ালিটি সাইড। আশা করি ম্যাচে আমরা ভালোই করব।"
গত কয়েক সিজনের হতাশা ঝেড়ে ফেলে এবার ইস্টবেঙ্গল বাকি দলগুলোকে রীতিমত টেক্কা দেওয়ার জন্য স্কোয়াড গড়েছে। ট্রান্সফার ফি দিয়ে একাধিক তারকা ফুটবলারকে তুলে নিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। জেভিয়ের সিভেরিও, সাউল ক্রেসপো, হোসে পারদো, এলসে, বোরহা হেরেরার মত নামি বিদেশিদের নেওয়ার পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল দেশীয় ফুটবলারের কোটায় সই করিয়েছে এডুইন ভান্সপাল, মন্দার রাও দেশাই, খাবরা, নন্দকুমার, নিশু কুমারের মত ঘরোয়া ফুটবলের পরিচিত তারকাদের। গত সিজনের ধারাবাহিক পারফর্মার নাওরেম মহেশ, ক্লিটন সিলভা ধরলে যথেষ্ট সমীহ করার মত এবারের ইস্টবেঙ্গল।
এমন দল নিয়ে ডার্বি জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল বস কার্লেস কুয়াদ্রাত। ম্যাচের আগে আশাবাদী গলায় তিনি জানিয়েছেন, "ডার্বির গুরুত্ব আমরা জানি। দুর্ধর্ষ এক আবহে দারুণ এক ম্যাচ হতে চলেছে। পুরো স্কোয়াড আমরা পাচ্ছি না। তবে আমরা সেরাটা দেব। আমাদের অনুশীলন বেশ ভালো চলছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা দল তৈরি করছি। ম্যানেজমেন্টও আমাদের সাহায্য করছেন। আমরা ডার্বি জয়ের জন্যই মাঠে নামব।"