Advertisment

ঘরের মাঠে বিস্ফোরণ লাল-হলুদের! হাফডজন গোলে চূর্ণ জামশেদপুর

প্রথম একাদশ তো নয়-ই। জামশেদপুর নিজেদের রিজার্ভ দল খেলাচ্ছে। প্রথম একাদশের তিন ফুটবলার আবার টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েট। সেই দল নিয়ে যে শক্তিশালী ইস্টবেঙ্গলকে থামানো যাবে না, তা একপ্রকার ঠিক-ই ছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jaime santos colado

লাল হলুদ জার্সিতে দুরন্ত হাইমে স্যান্টোস কোলাডো (ফেসবুক, ইস্টবেঙ্গল ফ্যান পেজ)

প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের গোলের খাতা খুলেছিলেন তিনি। ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচেও অপ্রতিরোধ্য হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। দোসর প্রথম ম্যাচের অন্য গোলদাতা বিদ্যাসাগর সিং। দুই তারকার জোড়া গোলে জামশেদপুরকে ৬-০ গোলে চূর্ণ করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রথম ম্য়াচে জয় পেলেও আলেয়ান্দ্রোর চিন্তা বাড়িয়েছিল স্ট্রাইকিং ফোর্সের পেনিট্রেশনের অভাব। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সেসব চিন্তাও করতে হল না ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচকে। হেসেখেলে নিজেদের ঘরের মাঠে জামশেদপুরের রিজার্ভ টিমকে ওড়াল ইস্টবেঙ্গল।

Advertisment

প্রথম একাদশ তো নয়-ই। জামশেদপুর নিজেদের রিজার্ভ দল খেলাচ্ছে। প্রথম একাদশের তিন ফুটবলার আবার টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েট। সেই দল নিয়ে যে শক্তিশালী ইস্টবেঙ্গলকে থামানো যাবে না, তা একপ্রকার ঠিক-ই ছিল। তা-বলে এমন অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ, তা ভাবা যায়নি। খেলা শুরুর থেকেই তেকাঠিতে বল রাখা শুরু।

আরও পড়ুন

আলেয়ান্দ্রোকে টেনশনমুক্ত করলেন কোলাডো! সেনাদের হারাল সেই স্প্যানিশ কানেকশনই

আগের ম্যাচের মতোই এদিন তিন বিদেশিতে দল সাজিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। বোরহার জায়গায় মার্তিকে রাখা হয়েছিল। বিরতির পরে যদিও বোরহাকে নামানো হয় মার্তিকে বসিয়ে। আপফ্রন্টে কোলাডো, বিদ্যাসাগর সিংহের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল পিন্টু মাহাতোকে। এতেইকেল্লাফতে। ত্রিমুখী আক্রমণ মুহূর্মুহূ আছড়ে পড়ল বিপক্ষের রক্ষণভাগে। মাত্র ১২ মিনিট খেললেন কোলাডো। এতেই এল জোড়া গোল।

৫ মিনিটের মাথাতেই বক্সের মধ্য়ে আগুয়ান কোলাডোকে ফাউল করেন জামশেদপুরের গোলকিপার অমৃত গোপে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি স্প্যানিশ তারকা। প্রথম গোলের হ্যাং ওভার কাটতে না কাটতেই এল দ্বিতীয় গোল। কোলাডোর লব থেকে। এরপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। সারাক্ষণ চাপে রাখার খেলা খেলে গেল লাল-হলুদ ফুটবলাররা। মজা করে ময়দানি ফুটবলের এমবাপ্পে বলা হয় পিন্টু মাহাতোকে। সেই পিন্টুই দল বদলে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে প্রথম গোল করে ফেললেন ৩১ মিনিটে। জামশেদপুরের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে দর্শনীয় গোল এল তাঁর পা থেকে। ম্যাচের শেষদিকে, চার মিনিটের ব্যবধানে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করে ব্যবধান বাড়ান বিদ্যাসাগর সিং। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ষষ্ঠ গোল বৈথাং হাওকিপের।

ইস্টবেঙ্গলঃ মির্শাদ, আশির, কমলপ্রীত, অভিষেক, তনদম্বা সিং (প্রকাশ সরকার), কোলাডো (বৈথাং), পিন্টু মাহাতো, কাশিম আইদারা, ক্রেসপো মার্তি (বোরহা), বিদ্যাসাগর সিং এবং ব্রেন্ডন

জামশেদপুর এফসিঃ অমৃত গোপে, নরেশ, বিজয়, করণদীপ, বাসেত, মার্চেস্টার, আকাশ, বিল্লু, কিলং, বিকাশ, মানসানা

East Bengal Kolkata Football
Advertisment