ইস্টবেঙ্গল: ৪ (ক্লেইটন সিলভা-২, সুমিত পাসসি-২)
মুম্বই সিটি: ৩ (গ্রেগরি স্টিওয়ার্ট, ছাংতে-২)
ম্যাচ ছিল গুরুত্বহীন। গ্রুপের চূড়ান্ত ফয়সালা সোমবার ইন্ডিয়ান নেভি বনাম রাজস্থান ইউনাইটেড ম্যাচে। তবে ডুরান্ডের গ্রুপ-বি'র নিয়মরক্ষার ম্যাচেই গর্জে উঠল ইস্টবেঙ্গল। মুম্বই সিটি এফসিকে ৪-৩ গোলে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে হারিয়ে দিল কনস্টানটাইনের লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ডার্বিতে আত্মঘাতী গোলে খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সুমিত পাসসি। সেই কলঙ্কের কিছুটা স্খলন করলেন তিনি শনিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে। জোড়া গোল করলেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেইটন সিলভাও জোড়া গোল করলেন। মুম্বইকে জোড়া গোলে ম্যাচে রেখেছিলেন ছাংতে। অন্য গোল গ্রেগরি স্টিওয়ার্টের।
আরও পড়ুন: সুনীল ছেত্রীর সাফ জয়ী সতীর্থ এবার সেরা বেলজিয়ান ক্লাবে! বিশাল খবর জানাল ISL টিম
ম্যাচে কার্যত হারানোর কিছু ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। এটিকে মোহনবাগান নেভিকে হারানোর পরেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি। অন্যদিকে, প্ৰথম দল হিসেবে গ্রুপ-ডি থেকে আগেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে মুম্বই। এমন অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল নিজেদের প্রমাণ করার লড়াইয়ে নেমেছিল শনিবার।
প্রথমার্ধে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ এগিয়ে দিয়েছিলেন ডার্বির খলনায়ক সুমিত পাসসি এবং ক্লিটন সিলভা। ১৭ মিনিটে সুমিত পাসসি বক্সের সামনে একা পেয়ে যান গোলকিপারকে। সেখান থেকে হেডে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি পাসসি। সেই গোলের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই ২২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের মালিক ক্লেইটন সিলভা। ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ডান পায়ের বাঁকানো শটে পরাস্ত করেন মুম্বই গোলরক্ষককে।
মুম্বই প্রত্যাঘাত করে দ্বিতীয় গোলের ঠিক পাঁচ মিনিট পরে। বিপিনের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করে দুরন্ত ভলিতে গোল করে মুম্বইকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন গ্রেগরি স্টিওয়ার্ট।
ম্যাচের আধঘন্টার মধ্যেই তিন গোল! তবে গোল বন্যা সেখানেই থেমে থাকেনি। ৩৪ এবং ৩৬ মিনিটে দুই দলের হয়ে দুই গোল করে যান সুমিত এবং ছাংতে। ক্লেইটন পাস বাড়িয়েছিলেন সুমিতকে। পাসসি ক্রস ভুল করে গোলে ঢুকিয়ে দেন গোলকিপার নওয়াজ। ইস্টবেঙ্গলের কমলপ্রীতও ভুল করে যান দু-মিনিট পরে। ছাংতে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন। দুর্বল গোলকিপিংয়ের মাশুল দিয়ে মুম্বই ম্যাচের দ্বিতীয় গোল তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: বিখ্যাত ডায়নামো জাগ্রেবে দুই ইন্ডিয়ান ফুটবলার! ইউরোপে গর্বের মঞ্চে ভারতীয় ফুটবল
বিরতির ঠিক আগে ৩-৩ করে যান সেই ছাংতে। বিপিনের ক্রস ধরেই আসে মুম্বইয়ের তৃতীয় গোল।
বিরতির পর স্টিফেন কনস্টানটাইন এলিয়ান্দ্রকে নামান। তবে জয়সূচক গোলের জন্য ইস্টবেঙ্গলকে অপেক্ষা করতে হয় ৮১ মিনিট পর্যন্ত ক্লেইটন সিলভার পা থেকে আক্রমণের সূচনা হয়েছিল। ক্লেইটন সিলভা-অমরজিৎ সিং কিয়ামের যুগলবন্দি থেকে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ৪-৩ ফলাফল নিশ্চিত হয়।