ভারতের কোচিং করিয়ে যাওয়া অন্যতম সেরা বিদেশি। বেশ কিছুদিন কোচিং এসাইনমেন্টের বাইরে তিনি। শেষবার কোচিং করিয়েছিলেন ঘানার আক্রায় ক্রিস্টাল প্যালেস একাডেমিতে। 'টিনটিন অফ ব্রাসেলস ফুটবল' সেই ফিলিপ ডি রাইডার এবার মুখ খুললেন সেই ডার্বি নিয়ে।
রবিবারের ডার্বি:
ভারতীয় ফুটবল বরাবর ফলো করি। এখনও করি। রবিবারেও অধীর আগ্রহে ডার্বির জন্য অপেক্ষা করে থাকব।
আইএসএল এবং ইস্টবেঙ্গলের নিয়মিত ব্যর্থতা:
২০০৫ থেকে ভারতীয় ফুটবল ফলো করে আসছি। এর অর্থ ১৭ বছর ভারতীয় ফুটবলের ফলোয়ার। প্রত্যেকবারেই দেখি ইস্টবেঙ্গল একই সমস্যা নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে। আইএসএল তো ওদের কাজ আরও কঠিন করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডার্বিতে ফেভারিট বাগান-ই! লাল-হলুদ কর্তাদের ঠুকে বিষ্ফোরক প্রাক্তন মর্গ্যান
ইস্টবেঙ্গল এত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে এশিয়ান ফুটবলের শীর্ষে থাকা প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও তা কিন্তু হয়নি। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। তবে মোহনবাগান কিন্তু পুরো পরিস্থিতি দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বলছি, ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিও না। স্রেফ শেষ ১০ বছরের পরিসংখ্যান নজর রাখা হোক। নম্বরই সত্যিটা তুলে আনবে।
ডার্বির ফেভারিট:
কোনও সন্দেহ নেই, মোহনবাগান ডার্বিতে এগিয়ে থেকে শুরু করবে। ক্লাব হিসাবে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে ওঁরা দারুণ করছে। এখন সমর্থকরা মাঠে ফেরায় ডার্বি স্বমহিমায় হাজির হবে। তবে কতজন ফুটবলারের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে? বলতে চাইছি, কলকাতায় ডার্বিতে সমর্থকদের উপস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন!
ইস্টবেঙ্গলে কোচের জোব্বায় স্বমহিমায় ডি রাইডার (ফেসবুক)
জর্জে কোস্তা নয়, স্টিফেন কনস্টানটাইনকেই ইস্টবেঙ্গলের কোচের হটসিটে বসানো:
জাতীয় দলের পর ভারতীয় ক্লাব ফুটবল প্রত্যহিকতার ভিত্তিতে কেমনভাবে পরিচালিত হয়, সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন উনি। তবে ভারতীয় ফুটবলারদের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে উনি ওয়াকিবহাল। এটাও প্লাস। অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক ম্যাচ খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তাই নিজস্ব ম্যানেজমেন্ট এবং মোটিভেশনাল স্কিল দেখানোর পূর্ণ সুযোগ থাকছে কনস্টানটাইনের কাছে। তবে জাতীয় দলের তুলনায় ক্লাব ফুটবলে কোচিং সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা। ফলাফলই ওঁর কোচিংয়ের দক্ষতা বুঝিয়ে দেবে। দেখা যাক।
আরও পড়ুন: বাগান গেটের নাম বদলাল আচমকাই! পেলে-মারাদোনা-সোবার্সকে নিয়ে বড় ঘোষণা দেবাশিসের
ভারতীয় ফুটবলে ফিফার নিষেধাজ্ঞা:
বিষয়টি যথেষ্ট জটিল। ভবিষ্যৎই বলবে এতে ভারতীয় ফুটবল উপকৃত হবে কিনা! তবে গোটা ঘটনা কি ভারতীয় ফুটবলে সদর্থক ভাবমূর্তি এনে দিল? তাছাড়া, স্থানীয় ফুটবল প্রশাসন, দল এবং একাডেমির পক্ষেও কি বিষয়টি ভালো হল? তরুণ ফুটবলারদের খেলার অনুপ্রাণিত হবে কি? আমার মনে হয় না!
ইস্টবেঙ্গলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা:
স্থানীয় কিছু কর্মকর্তা এবং প্রশাসকদের সঙ্গে ক্লাব পরিচালনা এবং ফুটবলের দৃষ্টিভঙ্গি সংক্রান্ত সমস্যা হওয়া বাদ দিয়ে ইস্টবেঙ্গলিয়ানদের জন্য আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। তাছাড়া ক্লাব এবং ফেডারেশনও অনেক চেষ্টা করেছে। ইস্টবেঙ্গল বরাবর আমার হৃদয়ে স্পেশ্যাল জায়গা দখল করে থাকবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
কোভিড পরিস্থিতি কার্যত শেষ। অন্যান্য পারিবারিক সমস্যাও মিটে গিয়েছে। আগামী তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে এশিয়া অথবা আফ্রিকার কোনও একটা দেশে ফুটবল উন্নয়নমূলক প্রজেক্টের অংশীদার হব।
এছাড়াও বাংলা এবং মুম্বইয়ে বেশ কিছু মিউজিক্যাল শো করতে চলেছি এই বছরে। আশা করি, গোটা বিষয়টি সফল হবে। জীবনের এই মুহূর্তে আমি নিজে কী করতে চাই, কীভাবে অন্যকে সাহায্য করতে চাই, সেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।