ইস্টবেঙ্গল: ০
এটিকে মোহনবাগান: ১ (সুমিত পাসসি-আত্মঘাতী)
ডার্বির রঙ সেই সবুজ মেরুন। শেষ পাঁচ ডার্বির ট্র্যাডিশন বদলাতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। দু-বছর পর কানায় কানায় পূর্ণ যুবভারতীতে ডার্বির প্রত্যাবর্তনে বাইপাসের ধারে উড়ল সবুজ-মেরুন আবির।
তবে এই জয় মোটেই মসৃণভঙ্গিতে এল না। আত্মঘাতী গোলে সওয়ার হয়ে ডার্বির জয়তিলক পড়লেন কোচ ফেরান্দো।
প্ৰথম একাদশে এদিন পাঁচ বদল। ইস্টবেঙ্গল একাদশে পাঁচ পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। অনিকেত, অমরজিৎ, তুহিন, সুহেরকে প্ৰথম একাদশে রাখেননি কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। অন্যদিকে, ফার্নান্দো ডিপ ডিফেন্সে পোগবা, কার্ল ম্যাকহিউকে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সই করেও ইস্টবেঙ্গল ছাড়লেন বাঙালি সুপারস্টার! ডার্বির দিনে উগরে দিলেন যাবতীয় ক্ষোভ
ম্যাচের প্ৰথম থেকেই সবুজ মেরুন ঝড় আছড়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল অর্ধে। বল পজেশন থেকে ম্যাচের আধিপত্য-সবেতেই এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। বারবার লাল-হলুদ রক্ষণে হানা দিচ্ছিলেন সবুজ মেরুন তারকারা। ১৬ মিনিটে আশিক কুরুনিয়ান একাই কার্যত ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে মাটি ধরিয়ে গোল করে গিয়েছিলেন।
তবে শেষমেশ সাইড নেটে লেগে বল প্রতিহত হয়। এরপরে কখনও লিস্টন, কখনও আশিস রাই, কুরুনিয়ানরা একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি ও নষ্ট হচ্ছিল। প্ৰথম দুই ম্যাচের মত এটিকে মোহনবাগান ডার্বিতেও ফিনিশারের অভাবে ভুগছে। পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাব বারবার অনুভূত হচ্ছিল।
প্রথমার্ধের চড়া সবুজ মেরুন আক্রমণের মুখে ইস্টবেঙ্গলের মন্ত্র ছিল যেন একটাই, কোনও রকমে গোল হজম করা যাবে না। সেই কারণে এলিয়ান্দ্ররাও এসে রক্ষণ করছিলেন এক সময়ে। গোল হজম না করার ও মানসিকতা অবশ্য সফল হয়নি।
বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে অবশ্য ম্যাচের প্ৰথম গোল করে যান সুমিত পাসি। এটিকে মোহনবাগানের জালে বল জড়াতে না পারলেও কর্ণার থেকে তোলা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পাসসি নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন। ডার্বির পর লর্ড সুমিত পাসসিকে নিয়ে আরও ট্রোল, মিমের বন্যা বইলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বিরতির পর একসঙ্গে তিনটে বদল ঘটেছিল। ক্লেইটন সিলভা, হিমাংশু জাংরা, অনিকেত যাদবদের নামিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লাল-হলুদ বস স্টিফেন কনস্টানটাইন। ইংরেজ কোচের সেই ট্যাকটিকসেই ম্যাচে ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল।তবে ৫০ মিনিটে খলনায়ক পাসসি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ক্লেইটন বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন পাসসিকে লক্ষ্য করে। তবে পাসসি এসিস্ট করার বদলে সরাসরি গোলের হেড করেন এবং মিস করেন।
ম্যাচের বয়স যখন এক ঘন্টা। তখন দুই দলই একটি কতে বদল করে। ইস্টবেঙ্গলে অমরজিৎ নামেন সৌভিকের বদলে। অন্যদিকে, ফেরান্দো বৌমাসকে তুলে নামান মনবীরকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকটি সুযোগ আসে লিস্টন, কুরুনিয়ানদের কাছে। তবে আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।
এটিকে মোহনবাগান: বিশাল কাইথ, ফ্লোরেন্তিন পোগবা, জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বৌমাস, শুভাশিস বোস, লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ান, প্রীতম কোটাল, দীপক টাংরি, আশিস রাই
ইস্টবেঙ্গল: কমলজিৎ সিং, ইভান গঞ্জালেজ, নুঙ্গা, সুমিত পাসসি, এলিয়ান্দ্র, আঙ্গুসানা, আলেক্স লিমা, জেরি, সৌভিক চক্রবর্তী, প্রীতম সিং, কিরিয়াকু