মুম্বই সিটি এফসি: ১ (আপুইয়া)
বেঙ্গালুরু এফসি: ২ (শিবশক্তি, কোস্তা)
আইএসএল শুরুর আগে নিজেদের শক্তি ভালোভাবে ঝালিয়ে নিল বেঙ্গালুরু এফসি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে উড়িয়ে প্ৰথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হল সুনীল ছেত্রীরা।
ভারতীয় ফুটবলের সমস্ত ট্রফি থাকলেও বেঙ্গালুরুর অধরা ছিল ডুরান্ড কাপ। একইভাবে ভারতের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকার ট্রফি ক্যবিনেটেও ছিল না ঐতিহ্যবাহী এই মহার্ঘ্য শিরোপা। রবিবারের শহর কলকাতা সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিল বেঙ্গালুরু এফসির।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে ইতিহাস গড়া বিশ্বকাপার এখন পুলিশ! বাবার শেষ ইচ্ছাপূরণে ব্রত করলেন দেশসেবাকে
সুনীল ছেত্রী নিজে গোল না পেলেও দুই অর্ধে টিম ব্লুজদের হয়ে গোল করে যান শিবশক্তি এবং এলেন কোস্তা। সুনীলের এসিস্ট থেকেই এল ম্যাচের জয়সূচক গোল। ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত ছিলই। সেই হিসাব মেনেই বাঁশি বাজার পর থেকে দুই দল উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়ে গেল যুবভারতী স্টেডিয়ামে।
ম্যাচের প্রায় শুরুতেই বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দিয়েছিলেন উঠতি তারকা শিবশক্তি। মুর্তাদা ফলের মত অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার থাকলেও তাঁকে পেরিয়ে লব করে গোলকিপার ফুরবার মাথার ওপর দিয়ে গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি তারকা।
আরও পড়ুন: প্রিয় ইস্টবেঙ্গল নয়, পুজোর আগেই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান দিল বেঙ্গালুরু! আবেগে একাকার লজেন্স মাসি
গোল হজম করার পরে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাতে থাকে মুম্বই। তবে বেঙ্গালুরুর রক্ষণ সমস্ত ঝড় ঝাপটা হজম করে নিচ্ছিল। তবে বেশিক্ষণ মুম্বইয়ের আক্রমণ আটকে রাখতে পারেনি ব্লুজ-রা। ৩০ মিনিটে বেঙ্গালুরুর হয়ে সমতা ফিরিয়ে যান আপুইয়া। যিনি সিটি গ্রুপের অন্য ক্লাব বেলজিয়ামের লোমেল এফকের সঙ্গে ট্রেনিং করে এসেছিলেন। বিরতিতে খেলার ফলাফল ছিল ১-১।
বিরতির পর আরও বেশি পজিটিভ ফুটবল খেলতে দেখা যায় মুম্বইকে। গোলের সুযোগও তৈরি হচ্ছিল। তবে তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি দেশ ব্যাকিংহ্যামের দল। উল্টে দ্বিতীয়ার্ধের একমাত্র গোল করে যান এলেন কোস্তা। সুনীল ছেত্রী পিনপয়েন্ট কর্ণার তুলেছিলেন। সেই ভাসা বল ধরেই দুর্ধর্ষ হেডে গোল করে যান কোস্তা। এরপরে আর সমতা ফেরাতে পারেনি মুম্বই।
আরও পড়ুন: বাগান ছেড়ে ইস্টবেঙ্গল নয়, চ্যাম্পিয়ন তারকা যোগ দিলেন ISL-এর নক্ষত্রখচিত ক্লাবে
২০১৩-য় ভারতীয় ফুটবলে আত্মপ্রকাশ করেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। তারপরে একদশকও পেরোয়নি সাফল্যের নয়া নয়া নজির স্থাপন করেছে দক্ষিণী দলটি। একবার আইএসএল, সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন, দু-বার করে আইলিগ এবং ফেডারেশন কাপ জয়। বাকি ছিল কেবল ডুরান্ড কাপ-ই। সেই অধরা আক্ষেপও বেঙ্গালুরুর পূরণ হয়ে গেল রবিবার রাতে। ফুটবল নগরীতে।
বেঙ্গালুরু বস সাইমন গ্রেসন মাত্র সাত ম্যাচ হল দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই হিসাবে বেঙ্গালুরুর কোচ হিসাবে ট্রফি জেতার নজিরে তিনিই দ্রুততম।