কেরিয়ারের অধরা খেতাব জিতেছিলেন। রবিবারের রাত স্বপ্নপূরণের ট্রফি নিয়ে হাজির হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর কেরিয়ারে। আর রূপকথার সেই রাতেই কিনা তীব্র অপমানের সাক্ষী থাকতে হল তাঁকে।
ট্রফি বিতরণের মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল লা গণেশন হালকা করে ঠেলে দিয়েছিলেন ডুরান্ডজয়ী অধিনায়ককে। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়।
মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে বেঙ্গালুরু প্ৰথমবার ডুরান্ড জিতেছিল। যুবভারতীতে জয়ী দলের ক্যাপ্টেন হিসাবে ট্রফি গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। সেই সময়েই ফটোশ্যুটের জন্য নিজের জায়গা তৈরি করতে গিয়ে সুনীলকে ঠেলে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল।
রাজ্য প্রশাসনের সাংবিধানিক শীর্ষ ব্যক্তি হয়ে ও যেভাবে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনকে অসম্মান করলেন, তাতেই ফুঁসে উঠছে নেট দুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত মুণ্ডুপাত শুরু হয়ে যায় লা গণেশনের। কয়েকদিন আগেই অবসর নেওয়া রবিন উথাপ্পা পর্যন্ত চুপ থাকতে পারেননি। "পুরো বিষয়টাই ভুলে ভরা। এর থেকে আরও বেশি সম্মান তোমার প্রাপ্য ছিল সুনীল।"
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে ইতিহাস গড়া বিশ্বকাপার এখন পুলিশ! বাবার শেষ ইচ্ছাপূরণে ব্রত করলেন দেশসেবাকে
শুধু সুনীল ছেত্রীই নন, বেঙ্গালুরুর প্ৰথম গোলের হিরো শিবশক্তিকেও দেখা যায় ফটোশ্যুটের সময় ধাক্কা খেতে।
২০১৩-য় ভারতীয় ফুটবলে আত্মপ্রকাশ করেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। তারপরে একদশকও পেরোয়নি সাফল্যের নয়া নয়া নজির স্থাপন করেছে দক্ষিণী দলটি। একবার আইএসএল, সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন, দু-বার করে আইলিগ এবং ফেডারেশন কাপ জয়। বাকি ছিল কেবল ডুরান্ড কাপ-ই। সেই অধরা আক্ষেপও বেঙ্গালুরুর পূরণ হয়ে গেল রবিবার রাতে। ফুটবল নগরীতে।
আরও পড়ুন: প্রিয় ইস্টবেঙ্গল নয়, পুজোর আগেই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান দিল বেঙ্গালুরু! আবেগে একাকার লজেন্স মাসি
বেঙ্গালুরু বস সাইমন গ্রেসন মাত্র সাত ম্যাচ হল দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই হিসাবে বেঙ্গালুরুর কোচ হিসাবে ট্রফি জেতার নজিরে তিনিই দ্রুততম।