ইস্টবেঙ্গল: ০
রাজস্থান ইউনাইটেড: ০
ডুরান্ড কাপে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য ফর্ম ধরে রাখল রাজস্থান ইউনাইটেড। এটিকে মোহনবাগানকে প্ৰথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান। দ্বিতীয় ম্যাচেও ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দিল রাজস্থান ইউনাইটেড।
ম্যাচে আগাগোড়া আধিপত্য নিয়ে খেলল ইস্টবেঙ্গল। বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ২০টি শট নিল সবমিলিয়ে। তবে দুর্ভাগ্যের একটাও গোল করতে পারল না লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন: ডার্বিতে ফেভারিট বাগান-ই! লাল-হলুদ কর্তাদের ঠুকে বিষ্ফোরক প্রাক্তন মর্গ্যান
গোল করতে না পারলেও ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ বৃহস্পতিবার ভরসা জোগাল। অন্যদিকে, রাজস্থানও যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিল গোল করার। গোটা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রাধান্য থাকলেও শেষ দিকে রাজস্থান ভয়ের সঞ্চার করেছিল প্রতিপক্ষ অর্ধে। এটিকে মোহনবাগান ম্যাচে ইনজুরি টাইমে গোল করা নিকুম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে ফেলেছিলেন। সংযোজিত সময়ে নিকুম এবং চাভেজের যুগলবন্দিতে প্রায় গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল রাজস্থান। তবে বারপোস্টের ওপর দিয়ে বল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাঁচিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলকে।
তবে ইনজুরি টাইমে নয়, রাজস্থান গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ৬৩ মিনিটে। পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমে সৌভিক চক্রবর্তী রেমসাঙ্গাকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন রাজস্থানকে। তবে বারবোজার দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন লাল-হলুদ গোলকিপার কমলজিৎ।
আরও পড়ুন: বাগান গেটের নাম বদলাল আচমকাই! পেলে-মারাদোনা-সোবার্সকে নিয়ে বড় ঘোষণা দেবাশিসের
প্ৰথম ম্যাচে বিদেশি হীন একাদশ নামিয়ে দিয়েছিলেন কোচ কনস্টানটাইন। বৃহস্পতিবার অবশ্য জোড়া বিদেশিকে রেখেছিলেন দলে। মিডিও আলেক্স লিমার সঙ্গেই ছিলেন কিরিয়াকৌ। পরে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামানো হয়েছিল এলিয়ান্দ্রকে। নেমে এদিন বেশ নজর কাড়লেন এলিয়ান্দ্র। মুভমেন্ট বেশ চমকপ্রদ ব্রাজিলিয়ান তারকার। অন্যদিকে, সেন্টার ব্যাক পজিশনে নুঙ্গা বেশ ভালো খেললেন। দুই উইঙ্গার তুহিন দাস এবং অনিকেত যাদবও বারবার প্রতিপক্ষ অর্ধে হানা দিয়ে নজর কাড়লেন।
গ্রুপ অফ ডেথে এটিকে রাজস্থান ইউনাইটেড আপাতত মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে যুগ্ম শীর্ষে। ইস্টবেঙ্গল দু-পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগানের থেকে।
ইস্টবেঙ্গল: কমলজিৎ, নুঙ্গা, সুমিত পাসসি, অনিকেত যাদব, অমরজিৎ সিং কিয়াম, ভিপি সুহের, আলেক্স লিমা, জেরি, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, তুহিন দাস, কিরিয়াকু