৪৮ ঘন্টা পরেই রুদ্ধশ্বাস ডার্বি। ডুরান্ডের ডার্বি ঘিরে এখনই কলকাতায় টিকিটের হাহাকার। এমন আবহেই এবার রক্তক্ষয়ী ম্যাচের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলন করে আয়োজক কমিটির ওপর চাপ বাড়িয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
Advertisment
মোহনবাগানকে বারবার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলেই সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং রজত গুহ। মূলত, দুটো বিষয় নিয়ে অভিযোগ। রজত গুহ বললেন, অন্যায্যভাবে প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে টুর্নামেন্টে নামছে মোহনবাগান। ৩০ জনের বদলে ৩৪ ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে খেলতে নামার বিষয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এবার কর্তারা সেই অভিযোগেই সুর চড়ানোয় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেল। রজত গুহ বললেন, ডুরান্ড কমিটির কাছে আপত্তি জানানোর পরেও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, উল্টে তার পরেও প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে মোহনবাগান।
দেবব্রত সরকারের গলায় আবার রেফারিং নিয়ে তীব্র আপত্তি। কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বইয়ের ন্যায্য পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন রেফারি। বক্সের মধ্যে আনোয়ার আলি গ্রেগ স্টিওয়ার্টকে ফাউল করলেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি মুম্বইয়ের পক্ষে।
Advertisment
উল্টো ঘটনা আবার এফসি গোয়া ম্যাচে। ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় মোহনবাগান বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে ১-১ করে। বক্সের বাইরে আশিক কুরুনিয়ানকে ফাউল করা হলেও অবাক করে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে দেন। গোয়ান ফুটবলাররা আপত্তি জানালেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি।
এই জোড়া বিষয় তুলে ধরে দেবব্রত সরকার আগুন ছড়িয়ে বলে দেন, "প্রতিটি ম্যাচেই বিশেষ একটি দল রেফারিদের কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা পেয়ে আসছে। সেমিফাইনাল তো বটেই তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটি ম্যাচে পেয়েছে। গত বছর গোয়ার আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে একই ঘটনা ঘটেছিল। গোয়ার কোচও ম্যাচের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।"
"এরকম যদি হয়ে থাকে, তাহলে বাকি দলগুলোর টিম বানানোর তো কোনও যুক্তিই নেই। আগামী ৩ তারিখ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আয়োজক কমিটিকে বলব। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি বিশ্বের সেরা দশ ডার্বির অন্যতম। এই ম্যাচ সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা কাম্য। কোনওভাবেই যাতে আইন শৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সেই বিষয় দেখতে হবে।"