Advertisment

বৃষ্টিভেজা যুবভারতীতে লাল-হলুদ ঢেউ! গোকুলামকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিতে ইস্টবেঙ্গল

দ্বিতীয় সেমিফাইনালিস্ট দল হিসেবে কোয়ালিফাই করার চ্যালেঞ্জ ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে

author-image
Subhasish Hazra
New Update
NULL

ইস্টবেঙ্গল: ২ (এলসে, নিশু কুমার)

গোকুলাম কেরালা: ১ (বৌবা)

Advertisment

সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। ২৪ ঘন্টা আগেই ইন্ডিয়ান আর্মিকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমির টিকিট কনফার্ম করেছিল নর্থইস্ট ইউনিটেড। শেষ চারে এবার লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। বৃষ্টিভেজা যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল যোগ্য দল হিসাবেই জিতল গোকুলামের বিপক্ষে। ২-১ গোলে ইস্টবেঙ্গল হারাল দক্ষিণী দলটিকে। দুই অর্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দুই গোল করার যান জর্ডন এলসে এবং নিশু কুমার। দ্বিতীয়ার্ধে গোকুলামের হয়ে বৌবা সমতা ফেরালেও কাজের কাজ হয়নি।

ডার্বির দুর্ধর্ষ জয় যে ফ্লুকে ছিল না, পরপর আইলিগের হেভিওয়েট দুই দল পাঞ্জাব এফসি এবং গোকুলামকে হারিয়ে সেটাই যেন প্রমাণ করল ইস্টবেঙ্গল শিবির। ক্লেইটন সিলভাকে প্ৰথম একাদশে রাখেননি কোচ কুয়াদ্রাত। বোরহা, ক্রেসপো, জর্ডন এলসে, মহেশ, নন্দকুমারদের নিয়ে শক্তিশালী প্ৰথম একাদশই নামিয়েছিলেন কোচ কুয়াদ্রাত।

আর ম্যাচের বাঁশি বাজার সঙ্গেসঙ্গেই গোল করে গিয়েছিলেন জর্ডন এলসে। ডার্বিতে এলসের পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়েছিল। রক্ষণে আসন্ন সিজনে যে তিনি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা হয়ে উঠতে পারেন, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগের দুই ম্যাচে। এবার অবশ্য টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম দ্রুততম গোল করে জানান দিলেন, ডি বক্সে প্রয়োজনে সুযোগ সন্ধানীও হতে পারেন তিনি। প্ৰথম মিনিটেই মহেশের এসিস্ট থেকে হেডে জালে বল জড়িয়ে দেন দীর্ঘদেহী অজি স্টপার। তবে ইস্টবেঙ্গল প্ৰথম মিনিটে গোল করার দিলেও ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল গোকুলাম।

পজেশন ভিত্তিক ফুটবলে মিডফিল্ডের দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিলি, নিধিন, সালাম রঞ্জনরা। মোহনবাগানে খেলে যাওয়া কোমরন তুর্শনভকেও এদিন নামিয়ে দিয়েছিলেন গোকুলাম কোচ। তবে তাজিক স্ট্রাইকার নজর ফেলতে পারেননি গোটা ম্যাচেই।

৩২ মিনিটে ক্রেসপোর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। নাহলে বিরতির আগেই ২-০ লিড নিয়ে ফেলতে পারত ইস্টবেঙ্গল।

বিরতির ঠিক আগেই গোকুলাম ক্যাপ্টেন আলেক্স সমতা ফিরিয়ে দেওয়ার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে প্রভসুখন গিল ম্যাচের সেরা সেভ করে ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচান। দ্বিতীয়ার্ধে গোকুলাম প্রেসিং ফুটবলে সমস্যায় ফেলেছিল লাল-হলুদ শিবিরকে। রাইট উইংয়ে শ্রীকুত্তান বেশ চাপ বাড়াচ্ছিলেন। তবে ফাইনাল পাশে গড়বড় করে ফেলছিলেন তিনি। তবে সমতা ফেরানোর জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হয়নি গোকুলামকে। অভিজিতের পিনপয়েন্ট ক্রস ধরে বৌবা দুরন্ত হেডে ম্যাচে সমতা ফেরান।

দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সিভেরিওকে তুলে নামানো হয় ক্লেইটনকে। ক্লেইটন নামার পরেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের। লেফট উইং থেকে নিশু কুমারের শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের গোলেই বল জড়িয়ে দেন বৌবা। শেষদিকে, নন্দ এবং নিশুকুমারকে তুলে ভিপি সুহের এবং মন্দারকে নামিয়ে দেন লাল-হলুদ কোচ। কাউন্টার এটাকে বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল। তবে ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গল: প্রভসুখন গিল, হরমনজোৎ খাবরা, নুঙ্গা, জর্ডন এলসে, নিশু কুমার, সৌভিক চক্রবর্তী, বোরহা হেরেরা, সাউল ক্রেসপো, নাওরেম মহেশ, নন্দকুমার, জেভিয়ের সিভেরিও

Indian Football Kolkata Football East Bengal Club East Bangal East Bengal Eastbengal
Advertisment