ঘরোয়া ফুটবলের সবথেকে বড়সড় সংঘাত রবিবার। এমনিতেই ফাইনালের মঞ্চ। তার ওপর চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি। নার্ভ ঠিক রাখার যুদ্ধ। আবার একইসঙ্গে দলের জন্য উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ার মঞ্চ ফুটবলারদের সামনে।
২০০৪-এ ডুরান্ড কাপে ইস্ট-মোহন মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ জেতে ২-১ ব্যবধানে। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলই ১৬ বার এই টুর্নামেন্টে জিতেছে। ইস্টবেঙ্গল শেষবার ডুরান্ড জিতেছিল সেই ২০০৪-এ'ই। মোহনবাগানকে হারিয়ে। ইস্টবেঙ্গল ট্রফি জিতেছিল শেষবার ২০১৮-য়। আইএফএ শিল্ড। যা বতর্মানে অনুর্দ্ধ-১৯ টুর্নামেন্ট।
গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গল বাংলাদেশ আর্মির বিপক্ষে ২-২ ড্র করেছিল। তারপর মোহনবাগান এবং পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে নকআউট নিশ্চিত করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।8 কোয়ার্টার ফাইনালে গোকুলামকে ২-১ গোলে হারানোর পর নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল ৫-৩ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জয়লাভ করে।
আরও পড়ুন: এখনও ১০০ শতাংশ ফিট নয় দল! বাগান সমর্থকদের দুশ্চিন্তায় ভাসিয়ে বড় মন্তব্য হেক্টরের
টানা জয়ে খুশিতে রয়েছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তবে জয়ের মার্জিন নিয়েও চিন্তায়। স্প্যানিশ বস বলছেন, "অধিকাংশ ম্যাচেই অল্প ব্যবধানে ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার পেনাল্টি জয়ের দরজা খুলে দিয়েছে। অনেক সময়েই ইস্টবেঙ্গল গোল হজম করেছে। তবে এটা নিশ্চিত যে আমরা জয়ের জন্য ঝাঁপাব। দারুণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে।"
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়েছেন কুয়াদ্রাত। স্বীকার করে নিয়ে স্প্যানিশ বস জানাচ্ছেন, "বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে ড্র করার পরে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলি। ট্রেনিংয়ে প্রতিটা সেশনে আমরা উন্নতি করেছি। ডার্বি জিতেছি। ম্যাচ ধরে ধরে উন্নতি করেছি। তারপর আমরা ফাইনালে পৌঁছেছি। গোটা একটা প্রসেসের এটা একটা সূচনা বলা যেতে পারে।"
"দলে অনেক নতুন ফুটবলার রয়েছে। এঁদের মধ্যে ক্লেইটনের সঙ্গেই অতীতে কাজ করেছি। প্রচণ্ড গরমে ম্যাচ খেলতে হবে। তবে দুই দলকেই এমন আবহাওয়ায় নামবে। শেষবার ২০১৬-য় ইস্টবেঙ্গল টানা দুটো ম্যাচে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল। বহুদিন কেটে গিয়েছে। এবার আমরা ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।"