ইস্টবেঙ্গলের কাছে চরম রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে গিয়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেড বস হুয়ান পেদ্রো বেনালি প্ৰথম সেমিফাইনালের পরেই বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। সরাসরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দেন, কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এবার ডুরান্ড কমিটির বিপক্ষে আগুনে অভিযোগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল এফসি গোয়াও। মোহনবাগানের কাছে ১-২ গোলে সেমিতে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর এফসি গোয়ার ফ্যান পেজ থেকে বিতর্কের দাবানল ছড়িয়ে বলে দেওয়া হল, ডাকাতি করে হারানো হয়েছে মানোলো মার্কুয়েজের দলকে।
নোয়া সাদাউয়ের গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। সেই সমতা ফেরানোর জন্য নাকি মোহনবাগানকে পেনাল্টি উপহার দেওয়া হল। বক্সের কাছাকাছি এলাকায় ভিক্টর রদ্রিগেজ ফাউল করেন আশিক কুরুনিয়ানকে। বক্সের নির্ধারিত সীমার বাইরে বাগান তারকাকে ফাউল করা হলেও রেফারি পেনাল্টির ইঙ্গিত দেন।
এরপরে সমবেতভাবে গোয়ার ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানালেও সেই অভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন রেফারি। সেই স্পটকিক থেকেই জেসন কামিন্স ১-১ করে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে নেমে সাদিকুর পা থেকে আসে জয়ের গোল।
এমন ঘটনার পর চুপ থাকেনি এফসি গোয়া সমর্থকরা। সরাসরি ডুরান্ডের আয়োজক কমিটিকে তোপ দেগে গোয়ার তরফে নিজেদের ফেসবুক পেজে লিখে দেওয়া হয়, "দিনে দুপুরে ডাকাতি করা হল সল্টলেক স্টেডিয়ামে। যেখানে লাইনম্যান নিজের কল্পনাপ্রসূত ভার-এ সজ্জিত হয়ে পরিষ্কার ফ্রিকিককে নির্লজ্জ পেনাল্টি করে দিলেন। ফাইনালে বাংলার ডার্বি করতেই হবে। আয়োজকদের এই অবসেশন সুন্দর খেলাটিকে ধ্বংস করল।"
এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে বিতর্কিত সেই ফাউলের দৃশ্য। যেখানে আশিক কুরুনিয়ানকে দেখা যাচ্ছে বক্সের বাইরে ফাউল করা হচ্ছে। ছবির ওপরে বড় বড় অক্ষরে লেখা হয়েছে, 'ডাকাতির শিকার। অন্ধা কানুন।'
সবমিলিয়ে রবিবার ডুরান্ডের ডার্বির আগেই বিরাট অভিযোগে শোরগোল ফেলল এফসি গোয়া এবং তাঁদের ফ্যান । এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।