মহামেডান: ৬ (রেমসাঙ্গা-২, ডেভিড-৪)
জামশেদপুর: ০
বেঁচে গেল মোহনবাগান। অবিশ্বাস্যভাবে শহুরে প্রতিপক্ষ মহামেডান কার্যত ছিটকে দিয়েছিল বাগানের ডুরান্ডের নকআউট পর্বে পৌঁছনোর আশাকে। তবে হয়নি, সমীকরণ অনুযায়ী, ৭-০ গোলে জিততে হত। মহামেডান মোহনবাগানের হৃদকম্প বাড়িয়ে জামশেদপুরকে বিধ্বস্ত করল হাফডজন গোলে। স্রেফ এক গোল কম দেওয়ার জন্য কোয়ার্টারে পৌঁছনো হল না সাদা কালো বাহিনীর।
ডুরান্ডের নক আউট পর্বে গ্রুপ থেকে প্ৰথম দল হিসেবে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি জয় এবং তারপর পাঞ্জাব এফসিকে হারানোর পর লাল-হলুদ কুয়াদ্রাত জমানার দুর্ধর্ষ সূচনা করে ছিল নতুন জমানার। সমস্ত গ্রুপ মিলিয়ে সেরা দুই দল হিসেবে নকআউট পর্বে পৌঁছনোর সম্ভবনা বেশি ছিল মোহনবাগান এবং নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। জামশেদপুর এবং মহামেডানের কাছেও সুযোগ ছিল নকআউট পর্বে ওঠার। তবে সেই জন্য বড় ব্যবধানে জিততে হত দুই দলকে।
অসম্ভব সমীকরণের সামনে খেলতে নেমে মহামেডান ছয় গোল দিল আইএসএল-এর নামি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। দরকার ছিল ৭ গোল। এল ৬ গোল। তাই শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে শেষ আটে পৌঁছল মোহনবাগান।
কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় খেলতে নেমেছিল সাদা কালো বাহিনী। আর প্ৰথম থেকেই গোল বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় মহামেডান। ১০ মিনিটে কাসিমভের এসিস্ট থেকে মহামেডানকে প্রথমে এগিয়ে দেন রেমসাঙ্গা। ১৬ মিনিটে রেমসাঙ্গা দ্বিতীয় গোল করার পর ডেভিড ২৮ মিনিটে ৩-০ করে দেন।
অবিশ্বাস্য জয়ের ইশারা পেয়েই নড়েচড়ে বসেছিল দেশের ফুটবল। খেলা যত গড়াচ্ছিল ততই চাপ বাড়ছিল মোহনবাগানের। বিরতির সময় ম্যাচ ৩-০ ছিল। কোয়ার্টারে পৌঁছনোর জন্য মহামেডানকে দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল দিতে হত।
সেকেন্ড হাফে ডেভিড আরও তিনটি গোল করে যান যথাক্রমে ৬৯, ৮১ এবং ৮৯ মিনিটে। শেষ লগ্নে আরও একটা গোল করলেই মহামেডানেই ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ত। তবে সেই জয় আর হয়নি।
ডুরান্ডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ম্যাচ উপহার দিয়েও নকআউটে পৌঁছতে পারল না মহামেডান। হাফডজন গোলের ধাক্কা সামলে ম্যাচ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস মোহনবাগানের।