ফাইনাল, তা-ও আবার ডার্বি। ডুরান্ডে স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। প্ৰথম ডার্বির ফলাফল গড়ে দিয়েছিলেন তামিল সুপারস্টার নন্দকুমার শেখর। সেই হারের বদলার ম্যাচ এবার মোহনবাগানের। সেমিফাইনালে বিতর্কিভাবে জয়ের পরেই বাগান স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকু জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিশোধ নিতে নামবেন তাঁরা।
এমনিতে ফাইনালে পৌঁছনোর মঞ্চে মোহনবাগানকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে হয়েছে। গ্রুপ পর্বের বাধা টপকানোর পর পরপর মুম্বই সিটি এফসি এবং এফসি গোয়ার মত প্রতিপক্ষকে সামলাতে হয়েছে। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলকে সামলাতে হয়েছে। গোকুলাম কেরালা এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচে অবশ্য সহজ জয় আসেনি লাল-হলুদ ব্রিগেডের।
বাগান বস হুয়ান ফেরান্দো অবশ্য এতকিছু ভাবছেন না। জানাচ্ছেন, "এখনও পর্যন্ত দলের পারফরম্যান্স-এ আমি খুশি। মুম্বই সিটি, এফসি গোয়ার মত কঠিন দলের মোকবিলা করতে হয়েছে। ফাইনালে আরও এক কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হবে। যদি জিততে পারি, তাহলে তো ভালোই হবে। আমাদের প্রি-সিজন চলছে। যেভাবে আমার অগ্রসর হচ্ছি, তাতে আমি খুশি। আমার কাছে অতীত সবসময়েই অতীত। আগের ডার্বির সময়ে আমি সত্যি কথা বলতে এএফসি কাপের দিকে বেশি ফোকাসড ছিলাম। এখন এএফসির গ্রুপ পর্বে পৌঁছে যাওয়ায় অনেকটাই চাপ হালকা হয়েছে। আগামীকাল ভালো দলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ চলে এসেছে আমাদের কাছে। ট্রফি জিততেই আমরা মাঠে নামব।"
কলকাতায় আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মাঠে নেমে পড়তে হয়েছিল স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাক হেক্টর ইউস্তেকে। প্ৰথম ডার্বিতে যদিও খেলতে পারেননি তিনি। "কলকাতায় পা রাখার সঙ্গেসঙ্গেই ম্যাচে নেমে পড়তে সমস্যা হয়নি। আমি সবসময়েই খেলতে ভালোবাসি। এমনকি কিপার হিসাবেও খেলতে পারি। রবিবার সকালে কলকাতায় পৌঁছেই খেলতে নামতে হয়েছিল। এখন এএফসি কাপে কোয়ালিফাই করতে পেরে ভাল লাগছে।"
"কলকাতার ডার্বির কথা অনেকের কাছেই শুনেছি। ম্যাচটা যে কঠিন হতে চলেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ শারীরিকভাবে আমরা একশো শতাংশ ফিট নই। তবে এই চাপ উপভোগ করতে চলেছি আমরা। ফাইনালের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দেব আমরা। ট্রফি জিতে সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চাই আমরা।"