মোহনবাগান: ৩ (কামিন্স, মনবীর, আনোয়ার)
মুম্বই সিটি: ১ (জর্জে পেরেরা ডিয়াজ)
ডুরান্ডের ফাইনালে হতেই পারে স্বপ্নের ডার্বি। সেই সম্ভবনা জিইয়ে রাখল মোহনবাগান। আগেই সেমিতে পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নর্থইস্টকে হারালেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে কুয়াদ্রাতের দল। আর রবিবার মুম্বইকে যুবভারতীতে বিধ্বস্ত করে শেষ চারে পৌঁছে গেল মোহনবাগান-ও। এফসি গোয়াকে সেমিতে হারালেই খেতাব জয়ের এক ধাপ দূরে পৌঁছে যাবে ফেরান্দোর দল।
সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হওয়ার কথা ছিল। তবে ম্যাচ হল কিছুটা একপেশেই। ম্যাচের ৭ মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল মোহনবাগান। কামিন্সকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন মুম্বই গোলকিপার লাচেনপা। সেই পেনাল্টি থেকেই গোলের খাতা খুলে যান অজি স্ট্রাইকার। হেভিওয়েট মুম্বইয়ের বিপক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাগান। কয়েক সপ্তাহ পরেই নেইমারের আল হিলালের তারকা খচিত দলের মুখোমুখি হবে মুম্বই। তার আগে এই ম্যাচ ছিল নিজেদের শক্তি পরীক্ষার।
মোহনবাগানের নক্ষত্রখচিত দলের সামনে অবশ্য সুবিধা করতে পারল না দেশ ব্যাকিংহ্যামের দল। রাহুল ভেকে, মেহতাব সিং, ভ্যান নিয়েফদের নিয়ে গড়া রক্ষণ এখনও জমাটি নয়। ম্যাচের প্রায় শুরুতেই মোহনবাগান দাপটে খেলার সুবাদে গোল তুলে নিয়েছিল।
বিক্ষিপ্তভাবে মুম্বই আক্রমণ শানালেও কখনই বাগান রক্ষণকে চিন্তায় ফেলতে পারেননি গ্রেগ স্টুয়ার্ট, ছাংতেরা।
তবে ম্যাচের বয়স আধঘন্টা পেরোনোর আগেই সমতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জর্জে পেরেরা ডিয়াজ। আবাহনী ম্যাচের মত এদিনও ভুল করলেন বিশাল কাইথ। আলবার্তো নগুয়েরার ক্রস সেভ করতে পারেননি বাগান কিপার। স্টুয়ার্টের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে বাগান রক্ষণ বেআব্রু করে দিয়েছিল মুম্বই। সেই ক্রস ধরেই শেষমেশ গোল করে যান ডিয়াজ।
তবে বেশিক্ষণ লিড নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। সমতা ফেরার মাত্র দু-মিনিটের মধ্যেই ২-১ করে দেন মনবীর। বাঁ দিক থেকে বুমোসের ভাসানো বল মনবীর জালে জড়িয়ে দেন।
২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাগান ছোট-ছোট স্পেলে আক্রমণ শানাতে থাকে। তবে বিরতিতে ২-১ গোলে এগিয়ে মাঠ ছাড়ে বাগান।
বিরতির পরে আকাশ মিশ্রকে তুলে মুম্বই কোচ বিপিন সিংকে নামিয়ে দেন। তবে বাগান রক্ষণকে টানা এই সময় চাপে রেখে যান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বল পজেশন বেশি রেখে মুম্বই বেশ বেগ দিচ্ছিল সবুজ মেরুন রক্ষণকে। তবে খেলার গতির বিপরীতেই গোল করে যায় মোহনবাগান। আনোয়ার আলি ফের একবার হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন। মাচিন্দ্রা ম্যাচে আনোয়ার জোড়া গোল করেছিলেন। এদিন চলতি সিজনে নিজের তৃতীয় গোল করে গেলেন।
৩-১ হয়ে যাওয়ার পরে বাগান কোচ রক্ষণ সংগঠন মজবুত করার জন্য সাহালকে তুলে নামিয়ে দেন গ্লেন মার্টিনসকে। এরপরে মুম্বই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান আর কমাতে পারেনি।