কোয়ার্টার ফাইনালে তিরিদের মুম্বই সিটি এফসিকে কুপোকাত করেছে মোহনবাগান। সেমিফাইনালে এবার কার্ল ম্যাকহিউর এফসি গোয়া। নিজের প্রাক্তনীদের মোকাবিলাই করতে হচ্ছে বাগান হুয়ান ফেরান্দোকে। ডার্বি হারের পর যে চাপ তৈরি হয়েছিল এএফসি এবং ডুরান্ডে পরপর ম্যাচ জয়ে অনেকটাই সেই চাপ উধাও। দলের মধ্যে যে ঢিলেঢালা ভাব ছিল। তা এখন অনেকটাই জমাটি। ব্রেন্ডন হ্যামিলের চোট বাদে বাকি দল পুরোপুরি ফিট। হ্যামিলের জায়গায় নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন হেক্টর ইউস্তে।
এমন আবহেই এবার ডুরান্ডের সেমিতে নামছে মোহনবাগান। জিতলেই যুবভারতীতে দুর্ধর্ষ ডার্বি। এফসি গোয়ার বিপক্ষে শেষ চারের লড়াইয়ে নামার আগে বাগান বস জানাচ্ছেন, "মুম্বইয়ের মত এফসি গোয়াও যথেষ্ট শক্তিশালী দল। গতবারের দলের তুলনায় এবারের দল যথেষ্ট শক্তিশালী ওঁদের। নতুন কোচের অধীনে খেলবে নোয়া সাদুই, বরিস, উদানতা, সন্দেশ, কার্ল ম্যাকহিউযের মত তারকারা। এমন দলের বিরুদ্ধে বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে। এবার প্রাক মরশুম প্রস্তুতি ঠিকঠাক হয়নি। নিজেদের পিক ফর্মে পৌঁছনোর জন্য আরও কিছু ম্যাচ খেলতে হবে।"
"মুম্বই ম্যাচ জিতলেও আমাদের উন্নতির অবকাশ রয়েছে। তবে চোট আঘাত বাঁচিয়ে খেলতে হবে। মুম্বইকে হারিয়েছি বলে গোয়াকেও হারাতে পারব, এমন আত্মতুষ্টিতে আমরা ভুগছি না। আত্মবিশ্বাসী তবে আত্মতুষ্ট নই। তবে রণকৌশল অনুযায়ী খেলতে পারলে গোয়াকে হারানো সম্ভব। গোয়াও ফাইনালে ওঠার জন্য ঝাঁপাবে। ফলে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে প্রতিটি মুহুর্তই গুরুত্বপূর্ণ।"
ফাইনালে ওঠার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি বাগানের নিউক্লিয়াস জেসন কামিন্সও। গোয়া ম্যাচের আগে অজি গোলমেশিন জানাচ্ছেন, "ভারতের সেরা দল আমাদের। ইন্ডিয়ার জাতীয় দলের একাধিক তারকা যেমন আমাদের, তেমন বিদেশিরাও জয়ের জন্য মরিয়া। মুমবিকে হারানোর পর গোয়াকে হারানোর বিষয়েও আমরা আশাবাদী। আইএসএল এএফসি কাপের আগে যদি একটা ট্রফি আসে, তাহলে দলের মনোবল আরও বাড়বে।"
"এফসি গোয়ার কোনও খেলা এখনও দেখিনি। তাই ওরা কতটা শক্তিশালী সেই বিষয়ে কোনও ধারণা নেই। গোল করা আমার কাজ। এখানে গোল করলেও এখনও নিজের সেরাটা দিতে পারিনি।"