ডার্বি জয়ের পরেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সরাসরি সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ এনে জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে মোহনবাগান। সরকারিভাবে ইস্টবেঙ্গল সহ ডুরান্ডের অংশগ্রহণকারী বাকি দলগুলো অভিযোগ না জানালেও কুয়াদ্রাতের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ময়দান।
ডুরান্ডকে প্রাক মরশুম টুর্নামেন্ট হিসাবেই বিবেচনা করে অধিকাংশ দলগুলো। সেই কারণেই সিনিয়র এবং রিজার্ভ স্কোয়াডের ফুটবলারদের যাচাই করে নেন সংশ্লিষ্ট দলের কোচরা। আর এই বিষয়ে সুযোগ সুবিধার জন্যই ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ ৩০জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি দিয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছিল মোহনবাগান ৩০ নয়, ৩৩ ফুটবলার নথিভুক্ত করে খেলতে নেমেছে সেনাবাহিনীর এই টুর্নামেন্টে।
যে কারণে কার্লেস কুয়াদ্রাত ডার্বিতে স্মরণীয় জয়ের মঞ্চেই বলে দেন, "ডার্বিতে ওঁরা তৃতীয় ম্যাচ খেলল। নিয়মানুযায়ী ৩০ জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করা যায়। ওরা তো ৩৩ ফুটবলার খেলাচ্ছে। জানি না এটা কীসের নিয়ম। আমরা তো ৩০ জনের বেশি ব্যবহার করতে পারব না!"
সেই সঙ্গে কুয়াদ্রাত স্বদেশীয় হুয়ান ফেরান্দোর বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও বুঝতে পেরেছেন। বলে দিয়েছিলেন, "সামনেই ওঁরা এএফসি কাপের ম্যাচ খেলবে। বড় এই টুর্নামেন্টের আগে সমস্ত ফুটবলারদের দেখে নিতে চায় ওঁরা। সেটা বুঝেছি। তবে নিয়ম তো সকলের জন্যই সমান হওয়া উচিত।"
ডুরান্ডের নিয়ম ভাঙা নিয়ে বাগান অথবা আয়োজক কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। কিন্তু সত্যি সত্যি এই অভিযোগের সারবত্তা থাকলে কী হবে? ফুটবল এক্সপ্রেস-এর এক প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, যদি নিয়ম ভেঙে থাকে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা, তাহলে জরিমানা দিতে হতে পারে ক্লাবকে।
যাইহোক, ডার্বি হারের তিক্ত স্মৃতি ভুলে মোহনবাগান এএফসির গ্রুপ পর্বে পৌঁছে গিয়েছে। কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে সবুজ মেরুন শিবির টানা হারিয়েছে নেপালের মাছিন্দ্রা এফসি এবং বাংলাদেশের আবাহনী ঢাকাকে। গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানকে মোকাবিলা করতে হবে ওড়িশা এফসি, মাজিয়া স্পোর্টিং এবং বসুন্ধরার বিপক্ষে।
রবিবার ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে বাগান খেলতে নামছে মুম্বই সিটি এফসির বিপক্ষে। সেই ম্যাচ জিতলেই বাগানকে শেষ চারে খেলতে হবে এফসি গোয়ার বিপক্ষে।