Durand Cup Derby, RG Kar Rape and Murder case: কলকাতা উত্তাল। অশান্ত শহর। নাগরিক মিছিল, বিক্ষোভে কালাতিপাত হচ্ছে তিলোত্তমার। পাশবিকভাবে নারকীয় কায়দায় যেভাবে মহিলা চিকিৎসককে নৈশ ডিউটিতে থাকার সময় গণ ধর্ষণ এবং তারপর হত্যা করা হয়েছে, তাতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ।
এমন আবহে রবিবারের ডুরান্ড কাপের ডার্বি বাতিল করে দিতে বাধ্য হল আয়োজক কমিটি। শহর জুড়ে এমন অশান্ত আবহে ডার্বি সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা প্ৰশ্ন উঠে গিয়েছিল।
রবিবারের ডার্বিতে দুই প্রধানের সমর্থকদের জমায়েতে সেই প্রতিবাদ যে বাড়তি মাত্রা পাবে, তা নির্ধারিতই ছিল। সেই প্রতিবাদের ভয়েই কি শেষমেশ প্রশাসন পিছু হঠল কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এমনিতেই ঠিক ছিল পৈশাচিক কাণ্ডের বিচারে রবিবারের যুবভারতী সরব হবে। একসুরে সবুজ মেরুন, লাল হলুদ শিবির গলা মিলিয়ে বিচার চাইবে ফুটবল মাঠে। ডার্বির মাঠে দুই দলের সমর্থকরা কালো জার্সিতে প্রতিবাদ জানাতে পারতেন। এমনটাই ইঙ্গিত ছিল। এছাড়াও দুই দলের সমর্থকরা টিফো, ব্যানার, পোস্টার নিয়ে স্টেডিয়ামে আসতেন। ফুটবল মাঠে এমন প্রতিবাদের ঢেউয়ে যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সেই জন্য বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করার প্রয়োজন ছিল। তবে শহর জুড়ে ধর্না, মিছিলের আবহে ডার্বির জন্য বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা সমস্যার ছিল। এমনটাই জানা গিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল । তাই শেষমেশ ডার্বি বাতিলের পথেই হাঁটতে হল।
ডার্বিতে তাই আর প্রতিবাদের ঢেউ দেখা গেল না। শনিবার নির্ধারিত সময়ে প্রি ম্যাচ প্রেস কনফারেন্স শুরু হয়নি। পরে জানিয়ে দেওয়া হয় ডার্বি বাতিল। পরবর্তীতেও এই ম্যাচ আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ ম্যাচ পিছনো নয়, পুরোপুরি ম্যাচ ক্যানসেল করা হল। দু দলই নিজেদের পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেবে। ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে বাঁক নিয়েছে, তাতে শহরে বাকি আর কোনও ডুরান্ডের ম্যাচ-ও হবে না। জামশেদপুরের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডুরান্ড।
নিজেদের গ্রুপে গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। পয়েন্ট ভাগাভাগি করার ফলে মোহনবাগান অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে পৌঁছে যাবে। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে সেক্ষেত্রে পরের রাউন্ডে ওঠা কিছুটা চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়াল।