কয়েক মাস আগেই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে এসেছিলেন। অমিত আপ্যায়ণের পরেই সৌরভের নবান্ন-পরিদর্শন ঘিরে জল্পনার স্রোত বয়ে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। রাজনীতিতে মহারাজের টাইমিং চমকৃত করেছিল সকলকে।
এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকও স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কো ধন্যবাদ জানিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল শেষ হয়েছিল রেড রোডে। আর রেড রোডের মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
নিজের সংক্ষিপ্ত ভাষণে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''এই উৎসবের পাঁচদিন একেবারেই আলাদা। দুর্গাপুজো কত বড়, তা বোঝার জন্য দেখতে হবে। এই উৎসব সবার মুখে হাসি ফোটায়। স্বীকৃতির জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ। এই শহরের আতিথেয়তা উপভোগ্য।''
রেড রোডের মঞ্চে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং সৌরভ (এক্সপ্রেস ফটো, শশী ঘোষ)
জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায় টলিপাড়ার বহু শিল্পীকে। ছিলেন বহু বিশিষ্টজনেরা। কলকাতার সব পুজো কমিটির কর্তাদেরও দেখা গিয়েছে জমকালো এই মিছিলে।
ইউনেস্কো প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা মোহনবাগান কর্তাদের (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক)
বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজোকে ঘিরে এই মহা-মিছিল থেকে বাদ যায়নি কলকাতা ময়দান-ও। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান কর্তারাও ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দলকে সংবর্ধনা দেন রেড রোডের মঞ্চে। ইস্টবেঙ্গলের তরফে মিছিলে পা মেলান প্রণব দাশগুপ্ত, দেবব্রত সরকার, রাজা গুহের মত শীর্ষস্থানীয় কর্তারা।
রেড রোডের মঞ্চে ইউনেস্কো প্রতিনিধি দলকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুর্গা প্রতিমার একাধিক মূর্তি। পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভাষণে বলেন, ''ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ইউনেস্কোকে স্যালুট জানাই। সারা বাংলায় শোভাযাত্রা হচ্ছে। ইউনেস্কোর সাপোর্ট অনুপ্রেরণা দিয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল ও খড়গপুর আইআইটিকে দিয়ে স্টাডি করিয়েছিলাম। পুজোকে কেন্দ্র ৪০ হাজার কোটির ব্যবসা হয়। পুজোর সঙ্গে সব স্তরের মানুষ যুক্ত হয়ে পড়েন।''
সবমিলিয়ে, পুজো-ইউনেস্কোর সমন্বয়ে একই মঞ্চে দাদা-দিদি সাক্ষাতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত।