মহামারী এবং লকডাউনের এই কঠিন সময়ে নিজেকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখা মানুষের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্যারাটে শিক্ষক প্রেমজিৎ সেন আগেই শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের চালু করে নজির গড়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে নিযুক্ত এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে অনলাইন ক্লাস নিয়ে তিনি একাধিকবার বলেছেন ক্যারাটে শিক্ষার উপযোগিতার কথা। কোনও ব্যক্তির শারীরিক ধৈর্যকে বাড়িয়ে তোলে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ যা দৈহিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি মনের শান্তি, আত্মবিশ্বাস এবং স্বনির্ভরতা বিকাশে সহায়তা করে ক্যারাটে শিক্ষণ যা একটি শিশুর চরিত্র বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমজিৎ বাবু বলছিলেন, শেখার ইচ্ছা থাকলেই অনেক দূর যাওয়া সম্ভব।
গোটা বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত। ঘরবন্দি হয়েই জীবন কাটছে বিশ্ববাসীর। মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কবে কমবে তা নিয়ে এখনও সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।
ঘরে থেকেই কিশোর ও বালকরা ভিডিও ও মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছেন। মোবাইল ও ভিডিও গেমস আসক্তি শিশুদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত মাত্রায় ভিডিও গেমস খেললে তা মস্তিষ্কের বিকাশের পথে অন্তরায়। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আর এর ফলেই শিশুদের মধ্যে স্ট্রেস, উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে শিশুমন। শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে স্থূলতা।
শিশুদের এমন কথা বিবেচনা করেই এগিয়ে এসেছিলেন ক্যারাটে ডো এসোসিয়েশনের সভাপতি হানসি প্রেমজিৎ সিং।
সম্প্রতি একটি অল ইন্ডিয়া ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করেছেন। অনলাইনেই আমন্ত্রণমূলক এই প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। গোটা দেশ তো বটেই ইরান, কাতার, কানাডা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলি থেকে ১৫০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে এই ই-ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে।
প্রেমজিৎবাবু বলছিলেন, বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে মোকাবিলা করলে নিজেদের ত্রুটি সম্পর্কে আরো অবহিত হতে পারবেন এদেশের প্রতিযোগীরা।
চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ৬০,০০০ টাকার নগদ পুরস্কারও দেওয়া হবে এই প্রতিযোগিতায়। প্রেমজিৎ সেনের ব্যানারে এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক মানের এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। পাশাপাশি এই টুর্নামেন্টে ভোটিং সিস্টেম রয়েছে। দর্শকরা নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়কে ভোট দিতে পারবেন।