ইস্টবেঙ্গল: ২ (বিদ্যাসাগর সিং, হাইমে স্যান্টোস কোলাডো)
সাদার্ন সমিতি: ১ (অর্জুন টুডু)
মাঠে থকথকে কাদা। বল প্রায় গড়াচ্ছে না। বৃষ্টিতে খেলা শুরু হল প্রায় পনের মিনিট পরে। এমন মাঠেই ডার্বির ড্রয়ের পরে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। নায়ক যথারীতি বিদ্যাসাগর সিং ও হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। দুর্বল সাদার্নের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের লড়াই ছিল বকলমে সম্মানের লড়াই। ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে যাওয়া দুই তারকা এবার সাদার্নের দায়িত্বে। মাঠের বাইরে সাদার্নের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার দায়িত্বে যেখানে লাল-হলুদের ঘরের ছেলে মেগহতাব হোসেন। সেখানে মাঠে সাদার্নের ভরসা আল আমনা।
পুরনো দলের বিরুদ্ধে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারল না আমনা-মেহতাবের পার্টনারশিপ। বিক্ষিপ্তভাবে আমনা ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠে ত্রাসের সঞ্চার করলেও তা থেকে গোল আসেনি।
শুরু থেকেই কাদা-মাঠে রাজত্ব করে গেল ইস্টবেঙ্গল। পিন্টু, বিদ্যাসাগর, কোলাডোদের আটকাতে রীতিমতো হিমশিম খেল সাদার্নের রক্ষণ। ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে কোলাডো, বিদ্যাসাগরদের না রাখা নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল কোচ আলেয়ান্দ্রোকে। ঘটনাচক্রে, এদিন শুরু থেকে দুই তারকা খেললেন প্রথম একাদশে। তাঁদের গোলেই ইস্টবেঙ্গলের সাদার্ন বধ। পাশাপাশি, বেশ কিছু ম্যাচ পরে মার্তি ক্রেসপির পরিবর্তে প্রথম একাদশে দেখা গেল বোরহাকে। নেমেই রক্ষণকে বরাবরের মতো ভরসা দিলেন তিনি।
প্রথম থেকে প্রাধান্য নিয়ে খেলা ইস্টবেঙ্গলকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৩২ মিনিট পর্যন্ত। ডিকার ভাসানো কর্নার থেকে প্রথমে কোলাডোর মাথা ছুঁয়ে অরক্ষিতে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যাসাগরের কাছে পৌঁছতে হেডে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে কোলাডোর গোল যেন প্রথম গোলের রিপিট টেলিকাস্ট। সেই ডিকার তোলা কর্ণার থেকেই টপ বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা কোলাডো জোড়ালো হেডে জাল কাঁপিয়ে দেন।
আরও পড়ুন শুরু থেকে কেন নেই চামোরো, কোলাডো? সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন দুই কোচ
রবিবারের ডার্বি নিষ্ফলা! তবু ভিকুনার তিকিতাকা মন কাড়ল
নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হওয়ার নয় মিনিট আগে সাদার্নের হয়ে দুরন্ত গোলে ব্যবধান কমিয়ে দিয়েছিলেন অর্জুন টুডু। এরপরে সাদার্ন শেষ দশ মিনিট উজ্জীবিত ফুটবল খেললেও সমতা ফেরাতে পারেনি।
গোটা ম্যাচ জুড়েই আলে আলে শব্দব্রহ্মে কাঁপিয়ে গেলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কাদা মাঠে কোচের প্রতি ভরসারই জবাব যেন দিলেন কোলাডোরা।
অন্যদিকে, মোহনবাগান কল্যাণীর মাঠে ২-০ ব্যবধানে পরাস্ত করল ভবানীপুর এফসিকে। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের হয়ে গোল করে যান রোমারিও জেসুরাজ এবং নাওরেম।
ইস্টবেঙ্গল: মাওইয়া, সামাদ আলি মল্লিক, আশির আখতার, বোরহা, মনোজ মহম্মদ, পিন্টু মাহাতো, তনদম্বা, ডিকা, বৈথাং হাওকিপ, কোলাডো, বিদ্যাসাগর
সাদার্ন সমিতি: ইশান, আইনিশ, স্যামুয়েল, গোভিন, শুভঙ্কর, কালু ওগবা, আল আমনা, ফয়জল আলি, অমরেন্দু চক্রবর্তী, উত্তম