আগামিকাল ভারতসেরা হওয়ার লক্ষ্যে নামছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। আই-লিগ অভিযান শুরু করবে দেশের দুই প্রধান ক্লাব। আর তার ঠিক একদিন আগেই মুখ পুড়ল ইস্ট-মোহনের। অনূর্ধ্ব-১৮ আই-লিগ ডার্বিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ময়দান। দু’দলের সমর্থকদের সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত হলেন বেশ কয়েকজন। ছোটদের বড় ম্যাচ দেখল রক্তারক্তিও।
এই সেই বিতর্কিত পতাকা
ঠিক কী হয়েছিল আজকের ম্যাচের পর? এদিন মোহনবাগান মাঠে জুনিয়র আই-লিগ ডার্বি ছিল। লাল-হলুদ ২-০ গোলে হারায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সবুজ-মেরুনকে। স্কোরলাইনই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার প্রধান কারণ ঠিকই। কিন্তু এছাড়াও অনেকগুলো ঘটনাতেই উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচের পর। মোহনবাগানের এক সমর্থক জানালেন, এদিন তাঁদের গ্যালারিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা সবুজ-মেরুন পতাকা পোড়ানোর চেষ্টা করেন। এখানেই শেষ নয়, পতাকাতে তাঁরা লিখে আনেন, "আমরাই মোবাইল চোর"।
বাগানের সেই সমর্থকই এই লেখার ব্যাখ্যা দিলেন। তিনি জানালেন, সনি নর্ডি যেদিন কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখেন, সেদিনই হাইতিয়ান সুপারস্টারের মোবাইল ফোনটি চুরি হয়। ইস্টবেঙ্গলের দাবি, বাগানের কোনও সমর্থকই এই কাজ করেছে। ফলে তাঁরা ঘুরিয়ে মোহনবাগানকেই চোর বলছেন। সেই মোহনবাগানির আরও অভিযোগ, এদিন তাঁদেরই এক সমর্থককে একা পেয়ে ইস্টবেঙ্গলের ফ্যানরা চড়াও হয়ে মারধর করেন। এ বিষয়ে মোহনবাগানের মিডিয়া ম্যানেজারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একাধিকবার তাঁকে ফোন করা হলে আনরিচেবল এসেছে। বাগানের এক কর্তাকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, ফলে কিছু বলতে পারবেন না।
আহত মোহনবাগান সমর্থক
ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়ার পক্ষ থেকে একজন জানালেন, তিনি মাঠে ছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, ঘরের মাঠে মোহনবাগান হারটা হজম করতে পারেনি। জনা তিরিশ-চল্লিশ সমর্থক হাতে বাঁশ নিয়ে তাঁদের তাড়া করেন। এমনকি ইঁট-পাটকেল ছোড়া হয় তাঁদের লক্ষ্য করে। ইঁটের টুকরো উড়ে এসে তাঁদেরই এক মহিলা সমর্থকের হাতে লাগলে তিনি রক্তাক্ত হন। ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েকজন সমর্থক মোহনবাগান ফ্যানেদের বাঁশের বাড়িতে আহত হয়েছেন বলেও খবর।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা এই ঘটনার দোষ পুরোটাই মোহনবাগানের কাঁধে চাপাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, ম্যাচটা মোহনবাগানের হোম ম্যাচ। সুতরাং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সবুজ-মেরুনেরই। এত বড় ম্যাচে পুলিশের উপস্থিতি "এত কম" কেন, এই নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। আগামী রবিবার মোহনবাগান মাঠে নির্বাচন। তাঁর আগে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে ক্লাবের জন্য খারাপ বিজ্ঞাপন।