ইস্টবেঙ্গল: ৩ (লালরিনডিকা রালতে, কোলাডো-২)
এরিয়ান: ০
ডুরান্ড কাপের ব্যর্থতার পরে কলকাতা লিগে বিএসএস-এর বিরুদ্ধে খেলতে নেমেই জয়ে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার এরিয়ানের বিরুদ্ধেও লিগে পূর্ণ পয়েন্ট ঘরে তুলল লাল হলুদ ফুটবলাররা। ডিকা এবং কোলাডোর জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে এরিয়ানকে ওড়াল ইস্টবেঙ্গল।
কার্যত একই মাঠ ভাগ করে অনুশীলন করে থাকে এরিয়ান ও ইস্টবেঙ্গল। তবে মাঠতুতো প্রতিপক্ষকে কোনও রকম সহানুভূতি দেখানোর পথে হাঁটল না ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় বিপক্ষকে নক আউট করে দেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ১৮ মিনিটের মধ্যেই ব্রেন্ডন ও কাশিম আইদারার গোলে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যেতে পারত। তারপরেও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে তা না হলেও ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৪২ মিনিট পর্যন্ট।
বিরতির ঠিক আগেই ব্রেন্ডন, হাওকিপ এবং লালরিনডিকার ত্রিভুজী আক্রমণে এল গোল। গোলের মুভ তৈরি করার পরে ব্রেন্ডনের পাস থেকে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম গোল এনে দেন লালরিনডিকা। বিরতি পর্যন্ত ১ গোল হলেও, দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল কোলাডোর। লাল-হলুদ জার্সিতে গোল করা অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন কোলাডো। এদিনও তার ব্যতিক্রম নয়।
৬১ মিনিটে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে গোলমুখ খুলে ফেলেন কোলাডো। আর নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে নিজের দ্বিতীয় গোল স্প্যানিও মিডিও-র। বক্সের মধ্যে রোনাল্ডো অলিভেইরাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সুযোগসন্ধানী কোলাডোর বাঁ দিক ঘেঁষা লো শটে গোল করে যান।
এদিন ম্য়াচে একাধিক ফুটবলারের হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা হল। মাঠের জন্যই কী এমন ফল? উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। যাইহোক, এদিন কোলাডোর জোড়া গোল সত্ত্বেও ম্যাচের সেরা কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের কেউ নন। এরিয়ান গোলকিপার সৈয়দ আবদুল বিন কাদের। ম্যাচে দুর্ধর্ষ গোলকিপিং করে নজর কাড়লেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল: মাওইয়া, সামাদ, আশির আখতার, ক্রেসপি, মনোজ, ব্রেন্ডন (কমলপ্রীত), ডিকা, কাশিম, কোলাডো, হাওকিপ (রোনাল্ডো), বিদ্যাসাগর (অভিষেক আম্বেকর)
এরিয়ান: কাদির, দীপক, চিকা, দিব্যেন্দু, সন্দীপ, রাজীব, ওরাও, শাহরুখ, কুনাল, এমানুয়েল, আদেমোলা