সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ডে দেখা যেতে পারত হেনরি কিসেক্কাকে। মোহনবাগানের প্রাক্তন স্ট্রাইকারের যোগ দেওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষমেশ ক্লাব নিল না উগান্ডার তারকাকে।
২০১৭/১৮ মরশুমে গোকুলামের জার্সিতে নজরকাড়া পারফর্মার হিসাবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। ঠিক তার পরের মরশুমে হেনরিকে পেতে ঝাঁপিয়েছিল কলকাতার দুই প্রধান। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই ক্লাবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়েছিল হেনরিকে পাওয়ার জন্য। শেষমেশ তিনি সবুজ মেরুন শিবিরে নাম লেখান।
আরও পড়ুন: ভিকুনার বাগানে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন, দ্রুততম গোলের মালিক! ভারতে ফিরে তারকা বিদেশির সই পুরোনো ক্লাবেই
সেবার ইস্টবেঙ্গলকে প্রত্যাখ্যান করার পরে এবার ইস্টবেঙ্গল থেকে কার্যত না করে দেওয়া হয়েছে। সিএফএল এবং ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব সামলাবেন বিনো জর্জ। গোকুলামে থাকার সময় থেকেই হেনরির সঙ্গে ভালো পরিচিত তৈরি হয় বিনোর। সেই জন্যই এবার বিনো আসন্ন দুই লিগের জন্য হেনরিকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্লাবকে। এমনটাই সূত্রের খবর।
তবে অতীতের প্রত্যাখানের জন্য ইস্টবেঙ্গল থেকে পত্রপাঠ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে হেনরির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি। চলতি বছরের এপ্রিলেই ভবানীপুর থেকে মহামেডান দু-মাসের জন্য সই করিয়েছিল হেনরিকে। তারপরে যথারীতি ফ্রি এজেন্ট ছিলেন তিনি। এমন অবস্থাতেই ইস্টবেঙ্গল তাঁর খেলার সম্ভবনা প্রকট হয়েছিল। যদিও তা শেষমেশ বাস্তবায়িত হলে না।
আরও পড়ুন: গুয়ার্দিওলার স্ট্র্যাটেজি কি এবার ফেরান্দোর বাগানে! মেসির পজিশনে হয়ত পেত্রাতোস
ভারতে আত্মপ্রকাশ গোকুলাম কেরালার জার্সিতে। আবির্ভাবেই ৭ ম্যাচে ৪ গোল করে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। কিসেক্কার দৌলতেই মালাবারিয়ান্সরা আইলিগে অবনমন বাঁচায় শেষমেশ। তাঁকে সই করা গেমচেঞ্জার হয়ে দাঁড়ায় গোকুলামের কাছে। শেষ সাত ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিল গোকুলাম। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা মিনার্ভা পাঞ্জাব তো বটেই গোকুলামের কাছে হারতে হয় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকেও।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল প্রাক্তনী, টানা দু-বার আইলিগ চ্যাম্পিয়ন! প্ৰথমবার সই করলেন ISL-এ
২০১৭/১৮-র আইলিগে কিসেক্কা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচেই গোল করে যান। তারপরে সঞ্জয় সেনের বাগানে যোগ দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন তারকা। গোকুলাম তারকাকে রাখতে চাইলেও বাগানের বড়সড় প্রস্তাব উপেক্ষা করতে পারনেনি উগান্ডার স্ট্রাইকার। সবুজ-মেরুনে তিনি জুটি বাঁধেন দিপান্ডা ডিকার সঙ্গে।
মরশুম শেষে তিনি ফের গোকুলাম কেরালাতেই ফিরে যান। করোনা অতিমারীতে গত দুবছর নিজের দেশ উগান্ডাতেই খেলছিলেন। গত বছর ভবানীপুরে নাম লিখিয়েছিলেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পুনরায় প্রত্যাবর্তন কলকাতার অন্যতম প্রধান ক্লাবে।