গত অক্টোবরে কলকাতায় এসেছিলেন অনেক আশা জাগিয়ে। স্টিফেন কনস্টানটাইন খোদ নিজের সহকারী বাছাই করে এনেছিলেন ইউরোপ থেকে। আইসল্যান্ডের যুব কোচ থোরহালুর সিগার্সনকে সহকারী করে মরশুম শুরু করেছিলেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ। তবে আইএসএলে আরও একবার ব্যর্থতার পর হেড কোচের আগেই পদত্যাগ করেছিলেন থোরহালুর। তবে মার্চে দায়িত্ব ছেড়েই দেশে বড়সড় পদে বসলেন ৩৬ বছরের সিগার্সন।
আইসল্যান্ড ফুটবল সংস্থার প্রতিভা অন্বেষণ বিভাগের প্রধান হলেন তিনি। সেইসঙ্গে দেশের ফুটবলের অনুর্দ্ধ-২১ দলের সহকারী কোচ এবং অনুর্দ্ধ-১৫ দলের হেড কোচও হয়েছেন তিনি। একসঙ্গে তিন দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। অর্থাৎ সিনিয়র দলের জন্য যুব পর্যায়ে ফুটবলার বাছাই করার মূল কারিগরের ভূমিকা পালন করবেন আইসল্যান্ডের এই কোচ।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলকে ৬-৭ গোলও দেওয়া যেত! বাগানে ‘উৎসবের দিনে পাশের বাড়ি’ নিয়ে বিষ্ফোরক টুটু বোস
ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করানোর আগেই আইসল্যান্ডের ফুটবল লিগে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কোচিং কেরিয়ার শুরু করেন আইসল্যান্ডের তৃতীয় ডিভিশনের থ্রোত্তুর রেকিয়াভিক-এ। ২০১৭/১৮ সিজনে থ্রোত্তুর-এ হেড কোচ গুনলুগুর জনসনের সহকারী হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। ঠিক তার পরের বছরেই সেই ক্লাবেই অস্থায়ী ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতে হয় তাঁকে। পরবর্তীতে তিনিই ইস্টবেঙ্গলে নাম লেখানোর আগে হেড কোচের ভূমিকায় ছিলেন।
স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছেন উইগান এন্ড লে কলেজ থেকে। রেকিয়াভিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছেন স্পোর্টস এন্ড এক্সারসাইজ বিভাগে।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত পেনাল্টি আদায় করেছিলেন পুত্র কিয়ান, সত্যি-মিথ্যা জানিয়ে এবার মুখ খুললেন জামশেদ নাসিরি
অস্থায়ী কোচ হিসেবে আইসল্যান্ড, নরওয়ের একাধিক ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। ভালুর, এইচকে, স্টেজেরনান এফসি, সার্পসবর্গ এফএফ তো বটেই বিখ্যাত কেএসআইয়ের যুব দলের হেড কোচ ছিলেন তিনি। ইউরোপ ছেড়ে এই প্ৰথমবার ভারতেই কোচিং করাতে এসেছিলেন সিগার্সন।
তবে ভারত-অভিযান মোটেই সুখের হল না তাঁর। নতুন দায়িত্বে তিনি কতটা সফল হবেন, তা সময়ই বলবে।