scorecardresearch

আমাকে গোটা সিজন রেখে দিয়েছিল, এতেই আমি সম্মানিত! ইস্টবেঙ্গলে চাকরি খোঁয়ানোর পরেই বিষ্ফোরক কনস্টানটাইন

ইস্টবেঙ্গল থেকে চাকরি যাওয়ার পর প্ৰথমবার মুখ খুললেন স্টিফেন কনস্টানটাইন

আমাকে গোটা সিজন রেখে দিয়েছিল, এতেই আমি সম্মানিত! ইস্টবেঙ্গলে চাকরি খোঁয়ানোর পরেই বিষ্ফোরক কনস্টানটাইন

বিতর্কবিদ্ধ মরশুম শেষে ইস্টবেঙ্গল থেকে অপসারিত হয়েছেন স্টিফেন কনস্টানটাইন। তাঁকে সরকারিভাবে বিদায় জানানোর দিনেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে নতুন কোচ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের নাম। আর চাকরি খোঁয়ানোর পরেই লাল-হলুদের সদ্য প্রাক্তন কোচ মুখ খুললেন প্রথমবার। এক ইংরেজি প্রচারমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে পরোক্ষে বলেই দিলেন, বারবার নতুন কোচ নিয়োগেই ক্লাবের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

ইনসাইড ফুটবল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষ্ফোরক কনস্টানটাইন বললেন, “ইস্টবেঙ্গল একটা বিরাট ক্লাব। তবে ক্লাবের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অভ্রান্ত নয়। আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গল তিন বছর খেলছে। তার মধ্যে এই বছরেই আমরা সবথেকে বেশি পয়েন্ট, সবথেকে বেশি গোল, সবথেকে বেশি ম্যাচ জিতে লিগ শেষ করেছি। ভারতীয় হিসাবে সবথেকে বেশি এসিস্ট আমাদের নাওরেমের, টপ স্কোরারও আমাদের (ক্লেইটন)। তবে আমরা প্লে অফে পৌঁছতে পারিনি। সেটাই ব্যর্থতা হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: স্টিফেনকে সরিয়ে কি ভুল করল ইস্টবেঙ্গল! আইসল্যান্ড থেকে সরাসরি মুখ খুললেন লাল-হলুদের বিদেশি সহকারী

এখানেই না থেমে স্টিফেনের আরও বক্তব্য, “মরশুম শেষে পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ৪ অগাস্ট আমরা ময়দানে প্ৰথম অনুশীলন শুরু করি। মাত্র ১২ জনকে নিয়ে। মরশুমের শুরুতেই আমি আগাম বলে দিয়েছিলাম আমরা প্লে অফে পৌঁছব না। আমরা বাকি দলগুলোর অনুশীলন শুরু করার ছয় সপ্তাহ পর মাঠে নামি। এভাবে প্লে অফে পৌঁছনো যায় না! যে মানের ভারতীয় ফুটবলার আমি চেয়েছিলাম তা পাইনি, কয়েকজন বিদেশিকে আমরা কিনতে পারিনি। তা সত্ত্বেও এই মরশুম কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের তিনটে আইএসএল-এর মধ্যে সেরা।”

আরও পড়ুন: দৌড়ে এগিয়ে থেকেও শেষমেশ ব্রাত্য! কুয়াদ্রাত ইস্টবেঙ্গল কোচ হতেই মুখ খুললেন গামবাউ

কোথায় কোথায় ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে পড়ল, জানাতে গিয়ে ব্রিটিশ কোচ একের পর এক অভিযোগের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। বলে দিয়েছেন, “আমাদের ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। শেষ চার বছরে ইস্টবেঙ্গলের ১০ বার কোচ বদল হয়েছে। আমি এগারোতম। আমার মনে হয় বাকি দশজনের মধ্যে আমিই একমাত্র গোটা সিজন টিকে গিয়েছিলাম। আবার ক্লাবে বদল ঘটছে। যাইহোক, ওঁরা আবার একই সমস্যায় পড়তে চলেছে। কারণ ওঁদের নতুন কোচের পাশাপাশি নতুন ফুটবলার প্রয়োজন হবে। সেই কোচ আবার নতুন সিস্টেমে দল পরিচালনা করবেন। কারণ প্রত্যেক বছরেই কোচ বদলালে অবশ্যম্ভাবীভাবে এই সমস্যায় পড়তে হবে। আমি সম্মানিত যে আমাকে গোটা সিজন রাখা হয়েছে। এটা ক্লাবের সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয় না যে বারবার কোচ বদলানো যে ক্লাবের সাফল্যের জন্য আদর্শ।”

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Sports news download Indian Express Bengali App.

Web Title: East bengal ex coach stephen constantine opens up for the first time since being sacked