স্টিফেন কন্সটানটাইন জমানায় তিনি ছিলেন কলকাতায় জনতার কাছে অন্যতম আলোচিত চরিত্র। ইস্টবেঙ্গল জনতার কাছে খলনায়ক হয়ে উঠেছিলেন। আবার তিনিই ছিলেন কোচ স্টিফেন কন্সটানটাইনের অন্যতম প্রিয়পাত্র। সেই সুমিত পাসির এবার নতুন ঠিকানা হতে চলেছে আইলিগের নতুন দল ইন্টার কাশি।
জেরার্ড পিকে, আতলেতিকো মাদ্রিদের বিনোযোগ থাকা ক্লাবে সুমিত পাসিকে খেলতে দেখা যাবে কার্লোস সান্তামারিনার প্রশিক্ষণে। সতীর্থ হিসাবে পাশে পাবেন ইস্টবেঙ্গলরই প্রাক্তনী অরিন্দম ভট্টাচার্য, মোহনবাগানে খেলে যাওয়া শেহনাজ সিংকে। এছাড়াও জামশেদপুরের হয়ে আইএসএল খেলা পিটার হার্টলেও এবার খেলবেন ইন্টার কাশিতে।
পৈলান এরোজের হয়ে সিনিয়র পর্যায়ে সুমিত পাসির অভিষেক হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই। পৈলানে ভালো খেলার সুবাদে দ্রুত স্পোর্টিং গোয়ার নজরে পড়ে যান। স্পোর্টিং গোয়ায় ৯ ম্যাচে ৩ গোল করেন তারকা। এরপরে সরাসরি আইএসএলে তাঁর আবির্ভাব ঘটে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে। ২০১৭-য় লোনে কাটান ডিএসকে শিবাজিয়ান্স দলের হয়ে।
২০১৭/১৮ মরশুমে জামশেদপুরের হয়ে আইএসএলে প্রত্যাবর্তন করেন সুমিত। দুই মরশুম জামশেদপুরের হয়ে ২৮ ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০২১ থেকে অবশ্য রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাবের হয়ে খেলছিলেন আইলিগে।
কনস্টানটানের কোচিংয়ে ২০১৯-য় এএফসি এশিয়ান কাপেও খেলেছেন তিনি। যুব জাতীয় দলের অংশ থাকার পরে সিনিয়র জাতীয় দলে এখনও পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলছেম সুমিত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩টি গোল-ও রয়েছে তাঁর। ২০১৬-য় লাওসের বিরুদ্ধে জ্যাকিচাঁদ সিংয়ের পাস থেকে কেরিয়ারের প্ৰথম আন্তর্জাতিক গোল করেছিলেন।
কন্সটানটাইন ইস্টবেঙ্গলে দায়িত্ব নিতেই পুরনো শিষ্যকে দলে নেন। তবে সুমিতের ইস্টবেঙ্গল পর্ব মোটেই সুখের হয়নি। গোটা সিজন জুড়ে ১১ ম্যাচ খেললেও নজর কাড়তে পারেননি। গত সিজনের ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে আত্মঘাতী গোল করে দলকে ডুবিয়েছিলেন।
ভিপি সুহেরের দেশীয় সতীর্থ হিসাবে আপফ্রন্টে ভাবা হয়েছিল পাসিকে। তবে গোটা সিজন ধরেই ধারাবাহিকভাবে হতাশ করেছেন দলকে। তবুও কোচ স্টিফেন কন্সটানটাইন আস্থা হারানবি তরুণ ভারতীয় স্ট্রাইকারের ওপর।
সুমিত পাসিকে ধারাবাহিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও কেন খেলিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছিল। যাইহোক, আপাতত ইন্টার কাশির হয়ে সুমিত নতুন সিজনে নতুনভাবে নিজেকে চেনাতে পারেন কিনা, সেটা দেখার।