২০শে মে, ২০২০! ঠিক একমাস আগে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তাণ্ডব আছড়ে পড়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশিরভাগ অংশে। প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় সুন্দরবন এলাকা। সম্ভবত এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপূরণীয়।
একমাস কেটে গেলেও সেই বিপদ এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। এর মধ্যেই ফের একবার শিরোনামে লাল হলুদ ফ্যান ক্লাব 'ইস্ট বেঙ্গল দ্য রিয়েল পাওয়ার' (ইবিআরপি)। ইবিআরপির অতীতের বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা ও কার্যকলাপের অতীত গৌরব এবং ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে নিজস্ব প্রোজেক্ট “Ctrl + Z Bengal”-এর মাধ্যমে বাংলাকে পুনর্গঠনের প্রয়াসে আত্মনিয়োগ করেছে এই ফ্যান ক্লাবটি। ২৫০০ কেজির ত্রাণ এবার আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় বিলিয়ে দিল তারা। যে কাজ করে আপাতত প্রশংসা কুড়িয়েছে ময়দানি ফুটবলের ফ্যান ক্লাবটি।
গত ২৪শে মে, ২০২০ থেকে বিশ্বব্যাপী ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্য থেকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে এই প্রোজেক্ট শুরু করা হয়। ১০ই জুন মধ্যরাতে তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি বন্ধ করা হয়।
ত্রাণের কাজে লাল হলুদ ফ্যান ক্লাব
১২ই জুন, ২০২০ তে দ্বিতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ পরিচালনা করে ইবিআরপি। সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের শিবনগর গ্রামে সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন নিদর্শন রেখে যায় তারা।
কী কী করা হল। ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়
- ২৫০০ কেজি ত্রাণ সামগ্রীর বিতরণ, যার মধ্যে রয়েছে খাদ্যদ্রব্য, ত্রিপল, ওষুধ ইত্যাদি।
- ১০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।
- স্থানীয় জলাশয়গুলির সংস্কারে সহায়তার জন্য ব্লিচিং পাউডার, পটাশ এবং চুন স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া।
- প্রায় ২০০ গ্রামবাসীর মধ্যে সারাদিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ।
দরিদ্র গ্রামবাসীদের ত্রাণ বিতরণ
- স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইখাতা, পেন সহ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ। গোটা ত্রাণ বিতরণী পর্বে ইবিআরপির তরফ থেকে শিবনগরের পুলিশ কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই উদ্যোগের প্রথম পর্বটি ৪ ও ৫-ই জুন কার্যকর করা হয়েছিল। রামকৃষ্ণ মিশন, নরেন্দ্রপুরের সহযোগিতায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলী ব্লকের গরানকোটি গ্রামে একটি দুই দিনের কমিউনিটি কিচেনের আয়োজন করে ইবিআরপি যেখানে আমফান বিধ্বস্ত ৫০০ মানুষের জন্য মোট ২০০০ প্লেট খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ফ্যান ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়,
তৃতীয় পর্যায়ে আরও কিছু করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে ইবিআরপি চিন্তাভাবনা করছে। পরবর্তীকালে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।