/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/Cuadrat.jpg)
ডুরান্ড কাপ 2023, ইস্ট বেঙ্গল বনাম মোহনবাগান, কার্লেস কুয়াদ্রাত (এক্সপ্রেস ফটো: পার্থ পাল)
ডুরান্ডে ইতিহাস গড়ল মোহনবাগান। তবে এই জয় প্রশ্নবিদ্ধ হল। রানার্স হওয়ার পরই বিতর্কের আগুন উস্কে দিলেন ইস্টবেঙ্গল বস কার্লেস কুয়াদ্রাত। প্রশ্ন তুললেন, "ডুরান্ডে বাকি সমস্ত দলের জন্য এক নিয়ম। মোহনবাগানের জন্য কেন আলাদা নিয়ম?"
প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে একাধিক বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোহনবাগান। নির্ধারিত ৩০ জনের বদলে ৩৪ ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করেছে সবুজ মেরুন শিবির। এই নিয়ে হায়দরাবাদ কোচ মানোলো মার্কুয়েজ থেকে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তারা মুখ খুলেছিলেন। সেই বিতর্কের রেশ-ই রয়ে গেল ডুরান্ড ফাইনালের পর।
ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ম্যাচ শেষেই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন তুলে বলে দেন, "প্রত্যেক টুর্নামেন্টে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। ডুরান্ডে ৩০ জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করেছে সমস্ত দল। কিন্তু মোহনবাগান ৩৪ ফুটবলার নথিভুক্ত করেছে। সমস্ত দলের জন্য এক নিয়ম আর মোহনবাগানের জন্য আলাদা। এটা হওয়া উচিত নয়।"
ডার্বির ৪৮ ঘন্টা আগে রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে লাল হলুদ কর্তা রজত গুহ-ও টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটিকে একহাত নেন। সরাসরি বলে দেন, অভিযোগ জানানোর পরেও ডুরান্ড কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: কুয়াদ্রাত নিয়মটা একটু পড়ে দেখুন! অভিযোগের জবাবে পাল্টা দিলেন এবার ফেরান্দো
ইস্টবেঙ্গল একমরসুম আগেও ছন্নছাড়া ছিল। তবে এবার কুয়াদ্রাত দলের মানসিকতাই বদলে দিয়েছেন। প্রথমবার লাল-হলুদ কোচের হটসিটে বসেই ডুরান্ডের রানার্স আপ হয়েছেন।
গ্রুপ পর্বের মত ফাইনালেও নাছোড় লড়াই উপহার দিয়েছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। প্রতিপক্ষ দশ জন হয়ে যাওয়াই আসলে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল। অন্তত এমনটাই মনে করছেন কুয়াদ্রাত। প্রায় আধঘন্টা মোহনবাগান দশ জনে খেললেও ইস্টবেঙ্গল গোল করতে পারেনি।
কুয়াদ্রাতের যুক্তি, "দশ জন হয়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষের আর হারানোর কিছু থাকে না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া প্রতিপক্ষ সবসময় ভয়ঙ্কর। সেটাই হয়েছে। আরও নিয়ন্ত্রণ দরকার ছিল। সেটা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভবিষ্যতে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেব।"
বহুদিন পর ইস্টবেঙ্গলকে ট্রফি জেতালেন কুয়াদ্রাত। সামনে ভরা ফুটবল মরশুম। তার আগে সমর্থকদের মনে আশা জাগিয়ে গেলেন তিনি। কুয়াদ্রাত নিজের লাল-হলুদ জার্সিতে শুরুয়াত নিয়ে বলছেন, "ইস্টবেঙ্গলের শেষবার ট্রফি জয় ২০১৯-এ। সর্বভারতীয় স্তরে ইস্টবেঙ্গল ট্রফি পেয়েছিল ২০১২। এতদিন পর ট্রফি জয় তো গর্বের!"