ঐতিহাসিক ডুরান্ড জয়। ২৩ বছর পর ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলকে পিছনে ফেলে ডুরান্ডের ইতিহাসে সফলতম দল মোহনবাগান। ঐতিহাসিক এই জয়ের মঞ্চেও পিছু ছাড়ছে না প্রশ্ন। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনালে মুম্বই, এফসি গোয়াকে হারানোর পর রেফারির 'দক্ষিণ্য' নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় ফুটবল। এফসি গোয়া কোচ রাখঢাক না করেই একহাত নিয়েছিলেন ম্যাচ আয়োজকদের। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বাগানের প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশনের যৌক্তিকতা নিয়ে।
গোটা টুর্নামেন্টেরম বাগানের প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুয়াদ্রাতও। ডুরান্ডের ফাইনালের মঞ্চেও স্বদেশীয় হুয়ান ফেরান্দোর দলকে নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন সাংবাদিক সম্মেলনে।
সেই জবাব সঙ্গেসঙ্গেই দিলেন হুয়ান ফেরান্দো। চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ বস জানালেন, "দলের অনুর্দ্ধ-২৩ ফুটবলাররা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়েছে। তাঁদের বদলেই নতুন প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এটা তো নিয়মের মধ্যেই রয়েছে। নিয়ম মেনেই যা করার করেছি। কার্লেস নিয়মটা ভালো করে পড়তে পারেন। তাছাড়া নিয়ম ভাঙলে তো আয়োজক কমিটির শাস্তি দেওয়ার কথা। সেটা তো হয়নি।"
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের জন্য নিয়ম আলাদা কেন! রানার্স হয়েই ফেরান্দো বাহিনীকে নিয়ে বোমা ফাটালেন কুয়াদ্রাত
রানার্স হওয়ার পর বিতর্কের গনগনে আগুন ছড়িয়ে ইস্ট কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত জানিয়ে দিয়েছিলেন, "প্রত্যেক টুর্নামেন্টে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। ডুরান্ডে ৩০ জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করেছে সমস্ত দল। কিন্তু মোহনবাগান ৩৪ ফুটবলার নথিভুক্ত করেছে। সমস্ত দলের জন্য এক নিয়ম আর মোহনবাগানের জন্য আলাদা। এটা হওয়া উচিত নয়।”
ডার্বির ৪৮ ঘন্টা আগে রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে লাল হলুদ কর্তা রজত গুহ-ও টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটিকে একহাত নেন। সরাসরি বলে দেন, অভিযোগ জানানোর পরেও ডুরান্ড কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে নিস্পৃহ ভঙ্গিতে কোচ ফেরান্দো জানাচ্ছেন, প্রাক মরশুম টুর্নামেন্ট হিসাবেই এই টুর্নামেন্ট খেলতে নেমেছিলেন তাঁরা। বলছেন, "কোয়ার্টারে মুম্বই সিটি এফসি, সেমিতে এফসি গোয়া, ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল- সব জয়ই কঠিন পরিস্থিতিতে জিততে হয়েছে। দলের আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে।"