অধিকাংশ বিদেশি ফুটবলারই দেশে ফিরে গিয়েছেন। তবে অনেকেই কলকাতায় থেকে যাওয়ার মনস্থ করেছেন। এদের মধ্যেই একজন ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদর। তবে প্রতিকূল সময়ে ফ্ল্যাট ছাড়ার নির্দেশ আসায় অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা। এক বিদেশি ফুটবলার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "এর থেকে খারাপ আর কিছুই হতে পারে না। গোটা দেশেই লকডাউন জারি রয়েছে। এখন আমরা কোথায় যাবো? এই অবস্থায় কোনোভাবেই ফ্ল্যাট ছাড়া যাবে না। ক্লাব কর্তাদের বারবার ফোন করেও কোনও সাড়া পাইনি। দেখা যাক, এখন কী হয়।"
কোয়েস কর্পের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ৩১ মে পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তবে চুক্তির ফোর্স মেজর ক্লজ অনুযায়ী অতিমারীর কারণ দেখিয়ে এক মাস আগেই কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি শেষ করেছে। ফুটবলাররাও মে মাসের বেতন পাবেন না। লাল হলুদ ফুটবলাররা ইন্ডিয়ার ফুটবল প্লেয়ার্স এসোসিয়েশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।
কোয়েসের তরফ থেকে কেউ কোনো জবাব পাননি। তবে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা জানিয়েছেন, 'কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির এডমিন টিম' থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে প্রত্যেককে।
সেই বার্তায় লেখা হয়েছে, "কলকাতার রোসদেল, ইউনি ওয়ার্ল্ড এবং অন্য রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স এর মালিকদের নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে। ২৫মে এর পর সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট আমরা মালিকদের কাছে দিয়ে দিচ্ছি।"
পাশাপাশি আরো বলা হয়েছে, "১৮ এপ্রিল থেকে আমরা ফ্ল্যাট খালি করে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন এবং স্যানিটাইজ করার কাজ করব। সেই ফ্ল্যাটে যাদের এখনো নিজস্ব মালপত্র রয়েছে, অনুগ্রহ করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে তা সংগ্রহ করে নিন। ফ্ল্যাটে ব্যক্তিগত সম্পত্তি কিছু হারিয়ে গেলে তার দায় কিউবিএফসি নেবে না।"