স্পনসর সংস্থা ছেড়ে গেলেও ইস্টবেঙ্গল আগামী মরশুমে তাঁকেই ধরে রাখবে, এই বিষয়ে আশাবাদী কোচ মারিও রিভেরা। মরশুমের শেষ দিকে আলেজান্দ্রো ছেড়ে যাওয়ার পর কোচ করা হয়েছিল প্রাক্তনী মারিও রিভেরাকে। তার হাত ধরেই রানার্স হয় লাল হলুদ ব্রিগেড।
ভারত ছাড়ার আগে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিও জানিয়েছেন, "ইস্টবেঙ্গলের দল গঠনের বিষয়ে আমি মতামত জানিয়েছি। ভারতীয় ফুটবলারদের বিষয়েও প্রস্তাব রেখেছি। ক্লাবের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, আগামী মরশুমের জন্য আমাকেই ভাবা হচ্ছে। আমি সবসময়েই লোকের উপর বিশ্বাস রাখি।"
করোনার আবহে চুক্তি শেষ হওয়ার একমাস আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইনভেস্টর কোয়েস। ফুটবলারদের বেতনেও কোপ পড়েছে। আর্থিক সমস্যার মধ্যেই ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যেই তিন প্রাক্তনী বিকাশ জাইরু, কেভিন লোবো এবং শেহনাজ সিংকে সই করিয়েছে লাল হলুদ।
একমাত্র বিদেশি হিসাবে সই করানো হয়েছে ওমিদ সিংকে। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন শঙ্কর রায়, বলবন্ত সিং, নবীন গুরুংরা।
দল গঠনের বিষয়ে বলতে গিয়ে মারিও জানাচ্ছিলেন, "ভাইরাসের সংক্রমণ সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে দল গঠন বেশ কঠিন কাজ। আমার মনে হয় যে দল গতবারের দল অপরিবর্তিত রেখে খেলতে নামবে, তাদের সুবিধা অনেক বেশি।"
এই প্রসঙ্গে কিবু ভিকুনার প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেছেন, "ভালো কোচ হওয়ার প্রধান শর্তই হল কঠিন পরিশ্রম করা এবং সেইসঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা পাওয়া।যা কিবুর ক্ষেত্রে হয়েছে। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে দু বছর জানার পর নতুন মরশুম শুরু করতে মুখিয়ে রয়েছি।"
সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "মোহনবাগান একজন ভালো কোচের উপর আস্থা রেখেছিল। কোচের হাতে সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিল। উনি ভালো ফুটবলার বেছেছিলেন, কঠোর পরিশ্রম করে ফলাফল এনে দিয়েছিলেন।"
প্রাক্তন যে কোচের ডেপুটি ছিলেন তিনি সেই আলেজান্দ্রোকে গত মরশুমের খারাপ পারফরম্যান্সের পর বিঁধেছেন মারিও। খোলামেলা জানিয়েছেন, "আমি জানি না উনি কী করেছেন। তবে আমি হাতে এমন একটা দল পেয়েছিলাম যা পুরোপুরি ভাঙা। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল দলটা। কোনো আত্মবিশ্বাস ছিল না। সবসময় চাপের মধ্যে ছিল দল। আমি নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। লিগ টেবিলে দলের অবস্থান থেকে কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না। কারণ ফুটবলাররা অনেক ভালো খেলতে সক্ষম।"